কুরআন মজীদ সূরা ত্বোয়া-হা আয়াত ৫০
Qur'an Surah Taha Verse 50
ত্বোয়া-হা [২০]: ৫০ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
قَالَ رَبُّنَا الَّذِيْٓ اَعْطٰى كُلَّ شَيْءٍ خَلْقَهٗ ثُمَّ هَدٰى (طه : ٢٠)
- qāla
- قَالَ
- He said
- মূসা বললো
- rabbunā
- رَبُّنَا
- "Our Lord
- "আমাদের রব
- alladhī
- ٱلَّذِىٓ
- (is) the One Who
- (তিনি) যিনি
- aʿṭā
- أَعْطَىٰ
- gave
- দিয়েছেন
- kulla
- كُلَّ
- (to) every
- প্রত্যেক
- shayin
- شَىْءٍ
- thing
- বস্তুকে
- khalqahu
- خَلْقَهُۥ
- its form
- তার সৃষ্টি কাঠামো
- thumma
- ثُمَّ
- then
- এরপর
- hadā
- هَدَىٰ
- He guided (it)"
- পথ দেখিয়েছেন"
Transliteration:
Qaala Rabbunal lazeee a'taa kulla shai'in khalqahoo summa hadaa(QS. Ṭāʾ Hāʾ:50)
English Sahih International:
He said, "Our Lord is He who gave each thing its form and then guided [it]." (QS. Taha, Ayah ৫০)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
মূসা বলল, ‘আমাদের প্রতিপালক তিনি যিনি সকল (সৃষ্ট) বস্তুকে আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর পথ প্রদর্শন করেছেন।’ (ত্বোয়া-হা, আয়াত ৫০)
Tafsir Ahsanul Bayaan
মূসা বলল, ‘আমাদের প্রতিপালক তিনি যিনি প্রত্যেক বস্তুকে তার যোগ্য আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর পথ নির্দেশ করেছেন।’[১]
[১] মানুষের জন্য যে আকার-আকৃতি যথোপযুক্ত ছিল তা মানুষকে এবং পশুদের জন্য যে আকার-আকৃতি যথোপযুক্ত ছিল তা তাদেরকে দান করেছেন। আর 'পথ-নির্দেশ' করার অর্থ হল প্রত্যেক সৃষ্টিকে তার প্রকৃতিগত আবশ্যকতা অনুসারে বসবাস, পানাহার ও আচার-আচরণের নিয়ম-পদ্ধতি শিক্ষা দিয়েছেন। আর সেই নিয়মানুসারে প্রত্যেক জীব নিজের জীবনোপকরণের ব্যবস্থা করে এবং নিজ নিজ মেকী জীবনের দিন-রজনী অতিবাহিত করে থাকে।
Tafsir Abu Bakr Zakaria
মূসা বললেন, ‘আমাদের রব তিনি, যিনি প্রত্যেক বস্তুকে তার সৃষ্টি আকৃতি দান করেছেন, তারপর পথনির্দেশ করেছেন [১]।
[১] আয়াতের কয়েকটি অর্থ হতে পারে। এক, তিনি প্রতিটি বস্তুর জোড়া সৃষ্টি করেছেন। দুই. মানুষকে মানুষই বানাচ্ছেন, গাধাকে গাধা, ছাগলকে ছাগল। তিন. তিনি প্রতিটি বস্তুর সুনির্দিষ্ট আকৃতি দিয়েছেন। চার. প্রতিটি সৃষ্টিকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তৈরী করেছেন। পাঁচ. প্রতিটি সৃষ্টিকে তার জন্য যা উপযোগী সে রকম সৃষ্টিরূপ দিয়েছেন। সুতরাং মানুষের জন্য গৃহপালিত জন্তুর কোন সৃষ্টিরূপ দেননি। গৃহপালিত জন্তুকে কুকুরের কোন অবস্থা দেননি। কুকুরকে ছাগলের বৈশিষ্ট্য দেননি। প্রতিটি বস্তুকে তার অনুপাতে বিয়ে ও তার জন্য যা উপযুক্ত সেটার ব্যবস্থা করেছেন। সৃষ্টি, জীবিকা ও বিয়ে-শাদীর ব্যাপারে কোন কিছুকে অপর কোন কিছুর মত করেননি। [ইবন কাসীর] ছয়. তিনি প্রতিটি বস্তুকেই যেটা তার জন্য ভাল সেটার জ্ঞান দিয়েছেন। তারপর সে ভাল জিনিসটার দিকে কিভাবে যেতে হবে সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন। [ফাতহুল কাদীর] সাত. কোন কোন মুফাসসির বলেন, আয়াতের অর্থ, আল্লাহর বাণী “আর যিনি নির্ধারণ করেন অতঃপর পথনির্দেশ করেন” [সূরা আল-আলা; ৩] এর মত, তখন এর দ্বারা অর্থ হবে, আল্লাহ প্রতিটি বস্তুর তাকদীর নির্ধারণ করেছেন, তারপর সেটাকে সে তাকদীরের দিকে চলার জন্য পথ দেখান। তিনি কার্যাবলী, আয়ু ও রিযিক লিখে নিয়েছেন। সে হিসেবে সমস্ত সৃষ্টিকুল চলছে। এর ব্যতিক্রম করার সুযোগ কারও নেই। এর থেকে বের হওয়াও কারও পক্ষে সম্ভব নয়। মূসা বললেন, আমাদের রব তো তিনিই, যিনি প্রতিটি সৃষ্টিকে সৃষ্টি করেছেন, তাকদীর নির্ধারণ করেছেন এবং সৃষ্টিকুলকে তাঁর ইচ্ছা অনুসারে চালাচ্ছেন। [ইবন কাসীর]
Tafsir Bayaan Foundation
মূসা বলল, ‘আমাদের রব তিনি, যিনি সকল বস্তুকে তার আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর সঠিক পথ নির্দেশ করেছেন’।
Muhiuddin Khan
মূসা বললেনঃ আমাদের পালনকর্তা তিনি, যিনি প্রত্যেক বস্তুকে তার যোগ্য আকৃতি দান করেছেন, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন।
Zohurul Hoque
তিনি বললেন -- ''আমাদের প্রভু তিনি যিনি সব-কিছুকে দিয়েছেন তার সৃষ্টি, তারপর চালিত করেছেন।’’