Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা ত্বোয়া-হা আয়াত ৪৪

Qur'an Surah Taha Verse 44

ত্বোয়া-হা [২০]: ৪৪ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

فَقُوْلَا لَهٗ قَوْلًا لَّيِّنًا لَّعَلَّهٗ يَتَذَكَّرُ اَوْ يَخْشٰى (طه : ٢٠)

faqūlā
فَقُولَا
And speak
অতঃপর দু'জনে বলবে
lahu
لَهُۥ
to him
তার সাথে
qawlan
قَوْلًا
a word
কথা
layyinan
لَّيِّنًا
gentle
নম্রভাবে
laʿallahu
لَّعَلَّهُۥ
perhaps he
সে সম্ভবতঃ
yatadhakkaru
يَتَذَكَّرُ
may take heed
উপদেশ গ্রহণ করবে
aw
أَوْ
or
অথবা
yakhshā
يَخْشَىٰ
fear"
ভয় করবে"

Transliteration:

Faqoolaa lahoo qawlal laiyinal la allahoo yatazakkkaru 'aw yakhshaa (QS. Ṭāʾ Hāʾ:44)

English Sahih International:

And speak to him with gentle speech that perhaps he may be reminded or fear [Allah]." (QS. Taha, Ayah ৪৪)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তার সঙ্গে তোমরা নম্রভাবে কথা বলবে, হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে কিংবা (আল্লাহর) ভয় করবে।’ (ত্বোয়া-হা, আয়াত ৪৪)

Tafsir Ahsanul Bayaan

তোমরা তার সাথে নম্র কথা বলবে,[১] হয়তো সে উপদেশ গ্রহণ করবে, অথবা ভয় করবে।

[১] এই গুণটিও আল্লাহর দিকে আহবানকারীদের জন্য অত্যন্ত জরুরী। কারণ, কঠোরতা অবলম্বনের ফলে বীতরাগ হয়ে মানুষ পালিয়ে যায়। পক্ষান্তরে নম্রতা অবলম্বনের ফলে নিকটবর্তী, প্রভাবিত ও সত্য গ্রহণকারী হয়।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

‘আপনারা তার সাথে নরম কথা বলবেন [১] , হয়ত সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে [২]।

[১] অর্থাৎ আপনাদের দাওয়াত হবে নরম ভাষায়, যাতে তা তার অন্তরে প্রতিক্রিয়া করে এবং দাওয়াত সফল হয়। যেমন অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, “আপনি মানুষকে দাওয়াত দিন। আপনার রবের পথে হিকমত ও সদুপদেশ দ্বারা” [সূরা আন-নাহল; ১২৫] এ আয়াতে দাওয়াত প্ৰদানকারীদের জন্য বিরাট শিক্ষা রয়েছে। সেটা হচ্ছে, ফির’আউন হচ্ছে সবচেয়ে বড় দাম্ভিক ও অহংকারী, আর মূসা হচ্ছেন আল্লাহর পছন্দনীয় লোকদের অন্যতম। তারপরও ফির’আউনকে নরম ভাষায় সম্বোধন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। [ইবন কাসীর] এতে বুঝা যাচ্ছে যে, প্রতিপক্ষ যতই অবাধ্য এবং ভ্রান্ত বিশ্বাস ও চিন্তাধারার বাহক হোক না কেন, তার সাথেও সংস্কার ও পথ প্রদর্শনের কর্তব্য পালনকারীদের হিতাকাংখার ভঙ্গিতে নমভাবে কথাবার্তা বলতে হবে। এরই ফলশ্রুতিতে সে কিছু চিন্তা-ভাবনা করতে বাধ্য হতে পারে এবং তার অন্তরে আল্লাহর ভয় সৃষ্টি হতে পারে।

[২] মানুষ সাধারণত; দু’ভাবে সঠিক পথে আসে। সে নিজে বিচার-বিশ্লেষণ করে বুঝে শুনে ও উপদেশবাণীতে উদ্ধৃদ্ধ হয়ে সঠিক পথ অবলম্বন করে, অথবা অশুভ পরিণামের ভয়ে সোজা হয়ে যায়। তাই আয়াতে ফিরআউনের জন্য দুটি সম্ভাবনাই উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য আয়াতে মূসা আলাইহিস সালাম কিভাবে সে নরম পদ্ধতি অবলম্বন করেছিলেন সেটার বর্ণনা এসেছে। তিনি বলেছিলেন, “আপনার কি আগ্রহ আছে যে, আপনি পবিত্র হবেন--- ‘আর আমি আপনাকে আপনার রবের দিকে পথপ্রদর্শন করি যাতে আপনি তাঁকে ভয় করেন?” [সূরা আন-নাযি আত; ১৮-১৯] এ কথাটি অত্যন্ত নরম ভাষা। কেননা, প্রথমে পরামর্শের মত তাকে বলা হয়েছে যে, আপনার কি আগ্রহ আছে? কোন জোর নয়, আপনার ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল। দ্বিতীয়ত বলা হচ্ছে যে, আপনি পবিত্র হবেন, এটা বলা হয়নি যে, আমি আপনাকে পবিত্র করব। তৃতীয়ত; তার রবের কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন, যিনি তাকে লালন পালন করেছেন। [সা’দী]

Tafsir Bayaan Foundation

তোমরা তার সাথে নরম কথা বলবে। হয়তোবা সে উপদেশ গ্রহণ করবে অথবা ভয় করবে।

Muhiuddin Khan

অতঃপর তোমরা তাকে নম্র কথা বল, হয়তো সে চিন্তা-ভাবনা করবে অথবা ভীত হবে।

Zohurul Hoque

''আর তার কাছে তোমরা বল সুরুচিসম্পন্ন কথা, হয়ত বা সে অনুধাবন করবে, অথবা সে ভয় করবে।’’