Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা ত্বোয়া-হা আয়াত ১২২

Qur'an Surah Taha Verse 122

ত্বোয়া-হা [২০]: ১২২ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

ثُمَّ اجْتَبٰىهُ رَبُّهٗ فَتَابَ عَلَيْهِ وَهَدٰى (طه : ٢٠)

thumma
ثُمَّ
Then
এরপরে
ij'tabāhu
ٱجْتَبَٰهُ
chose him
তাকে মনোনীত করলেন (সম্মানিত করলেন)
rabbuhu
رَبُّهُۥ
his Lord
তাঁর রব
fatāba
فَتَابَ
and turned
অতঃপর ক্ষমা করলেন
ʿalayhi
عَلَيْهِ
to him
তার প্রতি
wahadā
وَهَدَىٰ
and guided (him)
ও পথ দেখালেন

Transliteration:

Summaj tabbahu Rabbuhoo fataaba 'alaihi wa hadaa (QS. Ṭāʾ Hāʾ:122)

English Sahih International:

Then his Lord chose him and turned to him in forgiveness and guided [him]. (QS. Taha, Ayah ১২২)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

এরপর তার পালনকর্তা তাকে বাছাই করলেন, তার তাওবাহ কবূল করলেন এবং তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করলেন। (ত্বোয়া-হা, আয়াত ১২২)

Tafsir Ahsanul Bayaan

এরপর তার প্রতিপালক তাকে মনোনীত করলেন। সুতরাং তিনি তার তওবা কবুল করলেন ও তাকে পথ নির্দেশ করলেন। [১]

[১] এখান থেকে কিছু লোক প্রমাণ করেন যে, আদমের উক্ত অবাধ্যাচরণ নবুঅতের আগের ঘটনা। পরবর্তীতে তাঁকে নবুঅত দান করা হয়েছে। কিন্তু আমরা বিগত আলোচনায় অবাধ্যতার যে স্বরূপ ও বাস্তবিকতা বর্ণনা করেছি, তা নবুঅতের নিষ্কলুষতার প্রতিকূল নয়। কারণ এই প্রকার ভুল-ত্রুটি যার সম্বন্ধ আল্লাহর বার্তা পৌঁছানো ও শরীয়ত প্রচারের সাথে নয়; বরং তা ব্যক্তিগত কর্মের সাথে সম্পৃক্ত, তাও আবার তার কারণ ইচ্ছাশক্তির দুর্বলতা, তাহলে বাস্তবে তা অবাধ্যাচরণ বা পাপ নয়; যার কারণে মানুষ আল্লাহর শাস্তিযোগ্য গণ্য হয়। পরন্তু আদম (আঃ)-এর জন্য যে 'অবাধ্য' শব্দ ব্যবহার হয়েছে তা (আল্লাহর কাছে) তাঁর উচ্চ মর্যাদা ও উন্নত স্থান থাকার কারণে। যেহেতু বড়দের সামান্য ভুলও বড় বলে ধরা হয়। এই কারণে আলোচ্য আয়াতে (তার প্রতিপালক তাকে মনোনীত করলেন) এর অর্থ এই নয় যে, উক্ত ভুলের পর তাঁকে নবুঅতের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। বরং এর অর্থ হল, লজ্জিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনার পর আবার তাঁকে সেই মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করা হল; যা তিনি আগেই লাভ করেছিলেন। তাঁকে পৃথিবীতে অবতরণের ফায়সালা আল্লাহর ইচ্ছা, হিকমত ও কল্যাণময় রহস্যের ভিত্তিতেই ছিল। এখানে এটা মনে করা উচিত নয় যে, এ ফায়সালা আদমের প্রতি আল্লাহর ক্রোধের ফলস্বরূপ হয়েছিল।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

তারপর তার রব তাকে মনোনীত করলেন [১], অতঃপর তার তাওবা কবুল করলেন ও তাকে পথনির্দেশ করলেন।

[১] অৰ্থাৎ শয়তানের মতো আল্লাহর দরবার থেকে বহিষ্কৃত করেন নি। আনুগত্যের প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে যেখানে তিনি পড়ে গিয়েছিলেন সেখানে তাকে পড়ে থাকতে দেননি। বরং উঠিয়ে আবার নিজের কাছে ডেকে নিয়েছিলেন কারণ নিজেদের ভুলের অনুভূতি হবার সাথে সাথেই তারা বলে উঠেছিলেনঃ “হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছি এবং যদি আপনি আমাদের মাফ না করেন এবং আমাদের প্রতি করুণা না করেন তাহলে আমরা ধ্বংস হয়ে যাবো।” [সূরা আল আ'রাফঃ ২৩]

Tafsir Bayaan Foundation

এরপর তার রব তাকে মনোনীত করলেন, অতঃপর তার তাওবা কবূল করলেন এবং তাকে পথনির্দেশ করলেন।

Muhiuddin Khan

এরপর তার পালনকর্তা তাকে মনোনীত করলেন, তার প্রতি মনোযোগী হলেন এবং তাকে সুপথে আনয়ন করলেন।

Zohurul Hoque

এরপর তার প্রভু তাকে নির্বাচিত করলেন আর তার প্রতি ফিরলেন এবং তাকে পথনির্দেশ দিলেন।