Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা ত্বোয়া-হা আয়াত ১০২

Qur'an Surah Taha Verse 102

ত্বোয়া-হা [২০]: ১০২ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

يَّوْمَ يُنْفَخُ فِى الصُّوْرِ وَنَحْشُرُ الْمُجْرِمِيْنَ يَوْمَىِٕذٍ زُرْقًا ۖ (طه : ٢٠)

yawma
يَوْمَ
(The) Day
যেদিন
yunfakhu
يُنفَخُ
will be blown
ফুঁ দেয়া হবে
فِى
in
মধ্যে
l-ṣūri
ٱلصُّورِۚ
the Trumpet
শিঙ্গার
wanaḥshuru
وَنَحْشُرُ
and We will gather
এবং সমবেত করবো আমরা
l-muj'rimīna
ٱلْمُجْرِمِينَ
the criminals
অপরাধীদেরকে
yawma-idhin
يَوْمَئِذٍ
that Day
সেদিন
zur'qan
زُرْقًا
blue-eyed
নীল-চোখ বিশিষ্ট (দৃষ্টিহীন অবস্থায়)

Transliteration:

Yawma yunfakhu fissoori wa nahshurul mujrimeena Yawma 'izin zurqaa (QS. Ṭāʾ Hāʾ:102)

English Sahih International:

The Day the Horn will be blown. And We will gather the criminals, that Day, blue-eyed. (QS. Taha, Ayah ১০২)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

যেদিন সিঙ্গায় ফুঁ দেয়া হবে আর আমি অপরাধীদেরকে একত্রিত করব (ভয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত) দৃষ্টিহীন অবস্থায়। (ত্বোয়া-হা, আয়াত ১০২)

Tafsir Ahsanul Bayaan

যেদিন শিঙ্গায়[১] ফুৎকার দেওয়া হবে সেদিন আমি অপরাধীদের (চক্ষু) নীল হয়ে যাওয়া অবস্থায় সমবেত করব।

[১] صُور অর্থাৎ, শিংগা; যাতে ইস্রাফীল (আঃ) আল্লাহর আদেশে ফুঁ দেবেন এবং তখন কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। (মুসনাদে আহমাদ ২/১৯১) অন্য একটি হাদীসে মহানবী (সাঃ) বলেছেন যে, "ইস্রাফীল (আঃ) শিংগা মুখে ভরে দাঁড়িয়ে আছেন, মাথা নত করে প্রভুর আদেশের অপেক্ষায় আছেন যে, কখন তাঁকে আদেশ করা হবে এবং তিনি ফুঁ মারবেন।" (তিরমিযী, কিয়ামতের বিবরণ) ইস্রাফীল (আঃ)-এর প্রথম ফুঁতে সকলেই মারা যাবে। আর দ্বিতীয় ফুঁতে আল্লাহর আদেশে সকলেই জীবিত হবে এবং হাশরের মাঠে জমায়েত হবে। আলোচ্য আয়াতে দ্বিতীয় ফুঁকের কথাই বলা হয়েছে।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

যেদিন শিংগায় [১] ফুঁক দেয়া হবে এবং যেদিন আমরা অপরাধীদেরকে নীলচক্ষু তথা দৃষ্টিহীন অবস্থায় সমবেত করব [২]

[১] ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেনঃ জনৈক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে প্রশ্ন করলঃ صور (ছুর) কি? তিনি বললেনঃ শিঙ্গা। এতে ফুৎকার দেয়া হবে। [আবু দাউদঃ ৪৭৪২, তিরমিযিঃ ৩২৪৩, ৩২৪৪, আহমাদঃ ২/৩১২, সহীহ ইবনে হিব্ববানঃ ৭০১২, হাকোমঃ ২/৪৩৬, ৫০৬] অর্থ এই যে, صور শিঙ্গা-এর মতই কোন বস্তু হবে। এতে ফিরিশতা ফুঁক দিলে সব মৃত জীবিত হয়ে যাবে। হাদীসে এর কিছু গুণাগুণ বৰ্ণনা করা হয়েছেঃ এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ ‘ইস্রাফিল শিঙ্গা মুখে পুরে আছেন, তার কপাল তীক্ষভাবে উৎকৰ্ণ করে নীচু করে রেখেছে, অপেক্ষা করছে, কখন তাকে ফুঁক দেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে। [তিরমিযিঃ ২৪৩১, আহমাদঃ ৩/৭, ৭৩, হাকোমঃ ৪/৫৫৯] এর থেকে বোঝা যায় যে, এটা এক প্রকার শিঙ্গার মত, এর একাংশ মুখে পুরা যায়। তবে এর প্রকৃত স্বরূপ একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন।

[২] অর্থাৎ ভয়ে ও আতংকে তাদের রক্ত শুকিয়ে যাবে এবং তাদের অবস্থা এমন হয়ে যাবে যেন তাদের শরীরে এক বিন্দুও রক্ত নেই। অথবা শব্দটি “আযরাকুল আইন” বা নীল চক্ষুওয়ালার অর্থে গ্রহণ করেছেন। তারা এর অর্থ করেন অত্যাধিক ভয়ে তাদের চোখের মণি স্থির হয়ে যাবে। [ফাতহুল কাদীর]

Tafsir Bayaan Foundation

যেদিন শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে, আর সেদিন আমি অপরাধীদেরকে দৃষ্টিহীন অবস্থায় সমবেত করব।

Muhiuddin Khan

যেদিন সিঙ্গায় ফূৎকার দেয়া হবে, সেদিন আমি অপরাধীদেরকে সমবেত করব নীল চক্ষু অবস্থায়।

Zohurul Hoque

সেইদিন শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে, আর আমরা অপরাধীদের সেই দিনে সমবেত করব চোখ নীলাকার করে, --