সূরা ত্বোয়া-হা - Page: 6

قَالَ فَمَا بَالُ الْقُرُوْنِ الْاُوْلٰى ٥١

ফেরাউন বলল, ‘তাহলে আগের যুগের লোকেদের অবস্থা কী?’ ([২০] ত্বোয়া-হা: ৫১)

قَالَ عِلْمُهَا عِنْدَ رَبِّيْ فِيْ كِتٰبٍۚ لَا يَضِلُّ رَبِّيْ وَلَا يَنْسَىۖ ٥٢

মূসা বলল, ‘তার জ্ঞান আমার প্রতিপালকের কাছে (রক্ষিত) কিতাবে আছে, আমার প্রতিপালক ভুল করেন না, ভুলেও যান না।’ ([২০] ত্বোয়া-হা: ৫২)

الَّذِيْ جَعَلَ لَكُمُ الْاَرْضَ مَهْدًا وَّسَلَكَ لَكُمْ فِيْهَا سُبُلًا وَّاَنْزَلَ مِنَ السَّمَاۤءِ مَاۤءًۗ فَاَخْرَجْنَا بِهٖٓ اَزْوَاجًا مِّنْ نَّبَاتٍ شَتّٰى ٥٣

যিনি তোমাদের জন্য যমীনকে করেছেন বিছানা, আর তাতে তোমাদের জন্য ক’রে দিয়েছেন চলার পথ। আর আকাশ থেকে তিনি পানি বর্ষণ করেন আর তা দিয়ে আমি বিভিন্ন লতা-যুগল উদগত করি যার প্রত্যেকটি অন্যটি থেকে আলাদা। ([২০] ত্বোয়া-হা: ৫৩)

كُلُوْا وَارْعَوْا اَنْعَامَكُمْ ۗاِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيٰتٍ لِّاُولِى النُّهٰى ࣖ ٥٤

তোমরা খাও আর তোমাদের গবাদি পশু চরাও, এতে বিবেকবানদের জন্য বহু নিদর্শন আছে। ([২০] ত্বোয়া-হা: ৫৪)

۞ مِنْهَا خَلَقْنٰكُمْ وَفِيْهَا نُعِيْدُكُمْ وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً اُخْرٰى ٥٥

মাটি থেকে আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি, তাতেই আমি তোমাদেরকে ফিরিয়ে নেব, আর তাত্থেকে তোমাদেরকে আবার বের করব। ([২০] ত্বোয়া-হা: ৫৫)

وَلَقَدْ اَرَيْنٰهُ اٰيٰتِنَا كُلَّهَا فَكَذَّبَ وَاَبٰى ٥٦

আমি তাকে (অর্থাৎ ফেরাউনকে) আমার যাবতীয় নিদর্শন দেখিয়েছিলাম কিন্তু সে মিথ্যে মনে ক’রে প্রত্যাখ্যান করেছে ও অমান্য করেছে। ([২০] ত্বোয়া-হা: ৫৬)

قَالَ اَجِئْتَنَا لِتُخْرِجَنَا مِنْ اَرْضِنَا بِسِحْرِكَ يٰمُوْسٰى ٥٧

সে বলল, ‘হে মূসা! তুমি কি তোমার যাদুর বলে আমাদেরকে আমাদের দেশ থেকে বের করে দেয়ার জন্য এসেছ? ([২০] ত্বোয়া-হা: ৫৭)

فَلَنَأْتِيَنَّكَ بِسِحْرٍ مِّثْلِهٖ فَاجْعَلْ بَيْنَنَا وَبَيْنَكَ مَوْعِدًا لَّا نُخْلِفُهٗ نَحْنُ وَلَآ اَنْتَ مَكَانًا سُوًى ٥٨

তাহলে আমরাও অবশ্য অবশ্যই তোমার কাছে অনুরূপ যাদু হাযির করব, কাজেই একটা মধ্যবর্তী স্থানে আমাদের ও তোমাদের মিলিত হওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ কর যার খেলাফ আমরাও করব না, আর তুমিও করবে না।’ ([২০] ত্বোয়া-হা: ৫৮)

قَالَ مَوْعِدُكُمْ يَوْمُ الزِّيْنَةِ وَاَنْ يُّحْشَرَ النَّاسُ ضُحًى ٥٩

মূসা বলল, ‘তোমাদের (সঙ্গে) ওয়া‘দার নির্ধারিত সময় হল উৎসবের দিন আর দুপুরের আগেই মানুষ যেন পৌঁছে যায়।’ ([২০] ত্বোয়া-হা: ৫৯)

فَتَوَلّٰى فِرْعَوْنُ فَجَمَعَ كَيْدَهٗ ثُمَّ اَتٰى ٦٠

তখন ফেরাউন উঠে গেল, অতঃপর তার কলা-কৌশল একত্র করল, তারপর ফিরে এল। ([২০] ত্বোয়া-হা: ৬০)