Skip to content

সূরা ত্বোয়া-হা - Page: 14

Taha

(Ṭāʾ Hāʾ)

১৩১

وَلَا تَمُدَّنَّ عَيْنَيْكَ اِلٰى مَا مَتَّعْنَا بِهٖٓ اَزْوَاجًا مِّنْهُمْ زَهْرَةَ الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا ەۙ لِنَفْتِنَهُمْ فِيْهِ ۗوَرِزْقُ رَبِّكَ خَيْرٌ وَّاَبْقٰى ١٣١

walā
وَلَا
এবং না
tamuddanna
تَمُدَّنَّ
প্রসারিত তুমি করো
ʿaynayka
عَيْنَيْكَ
তোমার দুচোখ
ilā
إِلَىٰ
প্রতি
مَا
যা
mattaʿnā
مَتَّعْنَا
আমরা উপকরণ দিয়েছি
bihi
بِهِۦٓ
সে সম্পর্কে
azwājan
أَزْوَٰجًا
বিভিন্ন শ্রেণীকে
min'hum
مِّنْهُمْ
তাদের মধ্যকার
zahrata
زَهْرَةَ
সৌন্দর্য হিসেবে
l-ḥayati
ٱلْحَيَوٰةِ
জীবনের
l-dun'yā
ٱلدُّنْيَا
পার্থিব
linaftinahum
لِنَفْتِنَهُمْ
যেন তাদের পরীক্ষা করি আমরা
fīhi
فِيهِۚ
তার মধ্যে
wariz'qu
وَرِزْقُ
আর জীবিকাই
rabbika
رَبِّكَ
তোমার রবের
khayrun
خَيْرٌ
উত্তম
wa-abqā
وَأَبْقَىٰ
ও স্থায়ী
তুমি কক্ষনো চোখ খুলে তাকিও না ঐ সব বস্তুর প্রতি যা আমি তাদের বিভিন্ন দলকে পার্থিব জীবনে উপভোগের জন্য সৌন্দর্য স্বরূপ দিয়েছি, এসব দিয়ে তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য। তোমার প্রতিপালকের দেয়া রিযকই হল সবচেয়ে উত্তম ও সবচেয়ে বেশী স্থায়ী। ([২০] ত্বোয়া-হা: ১৩১)
ব্যাখ্যা
১৩২

وَأْمُرْ اَهْلَكَ بِالصَّلٰوةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَاۗ لَا نَسْـَٔلُكَ رِزْقًاۗ نَحْنُ نَرْزُقُكَۗ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوٰى ١٣٢

wamur
وَأْمُرْ
এবং নির্দেশ দাও
ahlaka
أَهْلَكَ
তোমার পরিবারকে
bil-ṣalati
بِٱلصَّلَوٰةِ
সালাত সম্পর্কে
wa-iṣ'ṭabir
وَٱصْطَبِرْ
এবং দৃঢ় থাকো
ʿalayhā
عَلَيْهَاۖ
তার উপর
لَا
না
nasaluka
نَسْـَٔلُكَ
তোমার কাছে চাই আমরা
riz'qan
رِزْقًاۖ
কোন জীবিকা
naḥnu
نَّحْنُ
আমরাই
narzuquka
نَرْزُقُكَۗ
তোমাকে জীবিকা দিই
wal-ʿāqibatu
وَٱلْعَٰقِبَةُ
এবং পরিণাম (শুভ)
lilttaqwā
لِلتَّقْوَىٰ
জন্যে মুত্তাকীদের
আর তোমার পবিরার-পরিজনকে নামাযের নির্দেশ দাও আর তাতে অবিচল থাক। তোমার কাছে আমি রিযক চাই না, আমিই তোমাকে রিযক দিয়ে থাকি, উত্তম পরিণাম মুত্তাকীদের জন্য নির্দিষ্ট। ([২০] ত্বোয়া-হা: ১৩২)
ব্যাখ্যা
১৩৩

وَقَالُوْا لَوْلَا يَأْتِيْنَا بِاٰيَةٍ مِّنْ رَّبِّهٖۗ اَوَلَمْ تَأْتِهِمْ بَيِّنَةُ مَا فِى الصُّحُفِ الْاُولٰى ١٣٣

waqālū
وَقَالُوا۟
এবং তারা বলে
lawlā
لَوْلَا
"কেন না
yatīnā
يَأْتِينَا
আমাদের কাছে আসে
biāyatin
بِـَٔايَةٍ
একটি নিদর্শন (অর্থাৎ মুজি'যা)
min
مِّن
থেকে
rabbihi
رَّبِّهِۦٓۚ
তার রবের"
awalam
أَوَلَمْ
কি নি
tatihim
تَأْتِهِم
তাদের কাছে আসে
bayyinatu
بَيِّنَةُ
সুস্পষ্ট (শিক্ষা)
مَا
যা (আছে)
فِى
মধ্যে (আছে)
l-ṣuḥufi
ٱلصُّحُفِ
কিতাব
l-ūlā
ٱلْأُولَىٰ
পূর্ববর্তীদের
তারা বলে, ‘সে তার প্রতিপালকের নিকট থেকে আমাদের কাছে কোন নিদর্শন নিয়ে আসে না কেন? তাদের কাছে কি আসেনি স্পষ্ট প্রমাণ যা ছিল পূর্ববর্তী (ওয়াহীকৃত) কিতাবগুলোতে।’ ([২০] ত্বোয়া-হা: ১৩৩)
ব্যাখ্যা
১৩৪

وَلَوْ اَنَّآ اَهْلَكْنٰهُمْ بِعَذَابٍ مِّنْ قَبْلِهٖ لَقَالُوْا رَبَّنَا لَوْلَآ اَرْسَلْتَ اِلَيْنَا رَسُوْلًا فَنَتَّبِعَ اٰيٰتِكَ مِنْ قَبْلِ اَنْ نَّذِلَّ وَنَخْزٰى ١٣٤

walaw
وَلَوْ
এবং যদি (এমন হতো)
annā
أَنَّآ
যে আমরা
ahlaknāhum
أَهْلَكْنَٰهُم
তাদের আমরা ধ্বংস করে দিতাম
biʿadhābin
بِعَذَابٍ
দিয়ে শাস্তি
min
مِّن
থেকে
qablihi
قَبْلِهِۦ
তার পূর্ব
laqālū
لَقَالُوا۟
অবশ্যই তারা বলতো
rabbanā
رَبَّنَا
"হে আমাদের রব
lawlā
لَوْلَآ
কেন না
arsalta
أَرْسَلْتَ
তুমি পাঠিয়েছিলে
ilaynā
إِلَيْنَا
আমাদের প্রতি
rasūlan
رَسُولًا
কোন রাসূল
fanattabiʿa
فَنَتَّبِعَ
আমরা তাহ'লে অনুসরণ করতাম
āyātika
ءَايَٰتِكَ
তোমার নিদর্শনাবলীর
min
مِن
থেকে
qabli
قَبْلِ
এর পূর্ব
an
أَن
যে
nadhilla
نَّذِلَّ
লাঞ্ছিত হতাম আমরা
wanakhzā
وَنَخْزَىٰ
ও আমরা অপমানিত হতাম"
এর (অর্থাৎ কোন নিদর্শন আসার) আগেই আমি যদি তাদেরকে ‘আযাব দিয়ে ধ্বংস করে দিতাম তাহলে তারা বলত, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমাদের কাছে কেন একজন রসূল পাঠালে না? তাহলে আমরা অবশ্যই তোমার নিদর্শন মেনে চলতাম আমরা অপমানিত ও হেয় হবার আগেই। ([২০] ত্বোয়া-হা: ১৩৪)
ব্যাখ্যা
১৩৫

قُلْ كُلٌّ مُّتَرَبِّصٌ فَتَرَبَّصُوْاۚ فَسَتَعْلَمُوْنَ مَنْ اَصْحٰبُ الصِّرَاطِ السَّوِيِّ وَمَنِ اهْتَدٰى ࣖ ۔ ١٣٥

qul
قُلْ
বলো
kullun
كُلٌّ
"প্রত্যেকেই
mutarabbiṣun
مُّتَرَبِّصٌ
অপেক্ষাকারী
fatarabbaṣū
فَتَرَبَّصُوا۟ۖ
সুতরাং তোমরা অপেক্ষা করো
fasataʿlamūna
فَسَتَعْلَمُونَ
অতঃপর তোমরা জানবে শীঘ্রই
man
مَنْ
কারা
aṣḥābu
أَصْحَٰبُ
অধিকারী
l-ṣirāṭi
ٱلصِّرَٰطِ
পথের
l-sawiyi
ٱلسَّوِىِّ
সরল সঠিক
wamani
وَمَنِ
এবং কারা
ih'tadā
ٱهْتَدَىٰ
সৎপথ অবলম্বন করেছে"
বল, (ইসলামের অনুসারীদের পরিণতি দেখার জন্য চারপাশের) সবাই অপেক্ষা করছে, কাজেই তোমরাও অপেক্ষা কর, তাহলেই তোমরা জানতে পারবে যে, কারা সরল পথের পথিক আর কারা সঠিক পথপ্রাপ্ত। ([২০] ত্বোয়া-হা: ১৩৫)
ব্যাখ্যা