Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা আল বাকারা আয়াত ১৩৮

Qur'an Surah Al-Baqarah Verse 138

আল বাকারা [২]: ১৩৮ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

صِبْغَةَ اللّٰهِ ۚ وَمَنْ اَحْسَنُ مِنَ اللّٰهِ صِبْغَةً ۖ وَّنَحْنُ لَهٗ عٰبِدُوْنَ (البقرة : ٢)

ṣib'ghata
صِبْغَةَ
(The) color (religion)
(গ্রহণ কর) রং (অর্থাৎ দীন)
l-lahi
ٱللَّهِۖ
(of) Allah!
আল্লাহ্‌র
waman
وَمَنْ
And who
এবং কে (আছে)
aḥsanu
أَحْسَنُ
(is) better
বেশী
mina
مِنَ
than
চেয়ে
l-lahi
ٱللَّهِ
Allah
আল্লাহ্‌র
ṣib'ghatan
صِبْغَةًۖ
at coloring?
রঙে
wanaḥnu
وَنَحْنُ
And we
এবং আমরা
lahu
لَهُۥ
to Him
তাঁরই
ʿābidūna
عَٰبِدُونَ
(are) worshippers
ইবাদাতকারী

Transliteration:

Sibghatal laahi wa man ahsanu minal laahi sibghatanw wa nahnu lahoo 'aabidoon (QS. al-Baq̈arah:138)

English Sahih International:

[And say, "Ours is] the religion of Allah. And who is better than Allah in [ordaining] religion? And we are worshippers of Him." (QS. Al-Baqarah, Ayah ১৩৮)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

(আমাদের দ্বীন) আল্লাহর রঙে রঞ্জিত এবং আল্লাহর রঙ অপেক্ষা আর কার রঙ উত্তম হবে? এবং আমরা তাঁরই ‘ইবাদাতকারী। (আল বাকারা, আয়াত ১৩৮)

Tafsir Ahsanul Bayaan

(আমরা গ্রহণ করলাম) আল্লাহর রঙ (আল্লাহর ধর্ম বা তাঁর প্রকৃতি)। রঙে আল্লাহ অপেক্ষা কে অধিকতর সুন্দর? [১] আর আমরা তাঁরই উপাসনাকারী।

[১] খ্রিষ্টানদের কাছে এক প্রকার হলুদ রঙের পানি থাকে; যা প্রত্যেক খ্রিষ্টান শিশুকে এবং প্রত্যেক সেই ব্যক্তিকে পান করানো হয়; যাকে খ্রিষ্টান বানানো উদ্দেশ্য হয়। এই অনুষ্ঠানের নাম তাদের নিকট 'ব্যাপ্টিজম' (পবিত্র বারি দ্বারা অভিসিঞ্চিত করে খ্রিষ্টধর্মের দীক্ষাদানোৎসব)। এটা তাদের নিকট অত্যধিক জরুরী ব্যাপার। এ ছাড়া তারা কাউকেও পবিত্র গণ্য করে না। মহান আল্লাহ তাদের এ বিশ্বাস খন্ডন করে বলেন, আসল রঙ তো আল্লাহর রঙ। এর চেয়ে উত্তম কোন রঙ নেই। আর আল্লাহর রঙের তাৎপর্য হল, প্রাকৃতিক ধর্ম ইসলাম, যার প্রতি প্রত্যেক নবী নিজ নিজ যুগে সব সব উম্মতকে আহবান করেছেন; যা ছিল তাওহীদের আহবান।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

আল্লাহ্‌র রঙ এ রঞ্জিত হও [১]। আর রং এর দিক দিয়ে আল্লাহ্‌র চেয়ে কে বেশী সুন্দর? আর আমরা তাঁরই ‘ইবাদাতকারী।

[১] আল্লাহ্‌র রং বলতে অধিকাংশ মুফাসসিরীনের নিকট উদ্দেশ্য হলোঃ আল্লাহ্‌র দ্বীন বা ইসলাম। সারমর্ম হলো - যা কিছু বর্ণিত হলো, তা হলো আল্লাহ্‌র দ্বীন, তাঁর নবী ইবরাহীমের মিল্লাত, এটা হলো সর্বোত্তম রং। আয়াতটির দুটি অনুবাদ হতে পারে। (এক) আমরা আল্লাহ্‌র রং ধারণ করেছি। (দুই) আল্লাহ্‌র রং ধারণ কর। নাসারাদের দ্বীনের আত্মপ্রকাশের পূর্বে ইয়াহুদীদের মধ্যে একটি বিশেষ রীতির প্রচলন ছিল। কেউ তাদের দ্বীন গ্রহণ করলে তাকে গোসল করানো হত। আর তাদের ওখানে গোসলের অর্থ ছিল, তার সমস্ত গোনাহ যেন ধুয়ে গেল এবং তার জীবন যেন রং ধারণ করল। পরবর্তী কালে নাসারাদের মধ্যেও এ রীতির প্রচলন হয়। তাদের ওখানে এর পরিভাষিক নাম হচ্ছে – ‘ইস্‌তিবাগ’ বা রঙ্গিন করা (ব্যাপ্টিজম)। তাদের দ্বীনে যারা প্রবেশ করে কেবল তাদেরকেই ব্যাপ্টাইজড করা হয় না, বরং নাসারা শিশুদেরকেও ব্যাপ্টাইজড করা হয়। এ ব্যাপারেই বলা হচ্ছে যে, এ লোকাচারমূলক রঞ্জিত হবার যৌক্তিকতা কোথায়? বরং আল্লাহ্‌র রঙে রঞ্জিত হও। যা কোন পানির দ্বারা হওয়া যায় না। বরং তাঁর বন্দেগীর পথ অবলম্বন করে এ রঙে রঞ্জিত হওয়া যায়।

Tafsir Bayaan Foundation

(বল,) আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করলাম। আর রং এর দিক দিয়ে আল্লাহর চেয়ে কে অধিক সুন্দর? আর আমরা তাঁরই ইবাদাতকারী।

Muhiuddin Khan

আমরা আল্লাহর রং গ্রহণ করেছি। আল্লাহর রং এর চাইতে উত্তম রং আর কার হতে পারে?আমরা তাঁরই এবাদত করি।

Zohurul Hoque

“আল্লাহ্‌র রঙ। আর রঙের ক্ষেত্রে আল্লাহ্‌র চাইতে কে বেশী সুন্দর? আর আমরা তাঁরই উপাসনাকারী।”