কুরআন মজীদ সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত ৮৬
Qur'an Surah Al-Isra Verse 86
বনী ইসরাঈল [১৭]: ৮৬ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
وَلَىِٕنْ شِئْنَا لَنَذْهَبَنَّ بِالَّذِيْٓ اَوْحَيْنَآ اِلَيْكَ ثُمَّ لَا تَجِدُ لَكَ بِهٖ عَلَيْنَا وَكِيْلًاۙ؉؉ (الإسراء : ١٧)
- wala-in
- وَلَئِن
- And if
- এবং অবশ্যই যদি
- shi'nā
- شِئْنَا
- We willed
- আমরা চাইতাম
- lanadhhabanna
- لَنَذْهَبَنَّ
- We (would) have surely taken away
- অবশ্যই আমরা যেতাম
- bi-alladhī
- بِٱلَّذِىٓ
- that which
- নিয়ে ঐ জিনিস যা
- awḥaynā
- أَوْحَيْنَآ
- We have revealed
- আমরা ওহী করেছি
- ilayka
- إِلَيْكَ
- to you
- তোমার প্রতি
- thumma
- ثُمَّ
- Then
- এরপর
- lā
- لَا
- not
- না
- tajidu
- تَجِدُ
- you would find
- পেতে
- laka
- لَكَ
- for you
- তোমার জন্যে
- bihi
- بِهِۦ
- concerning it
- তা সম্পর্কে
- ʿalaynā
- عَلَيْنَا
- against Us
- বিরুদ্ধে আমাদের
- wakīlan
- وَكِيلًا
- any advocate
- কোনো কর্মবিধায়ক
Transliteration:
Wa la'in shi'naa lanaz habanna billazeee awhainaaa ilaika summa laa tajidu laka bihee 'alainaa wakeelaa(QS. al-ʾIsrāʾ:86)
English Sahih International:
And if We willed, We could surely do away with that which We revealed to you. Then you would not find for yourself concerning it an advocate against Us. (QS. Al-Isra, Ayah ৮৬)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
ইচ্ছে করলে আমি তোমার প্রতি যা ওয়াহী করেছি তা কেড়ে নিতে পারতাম, সে অবস্থায় তুমি আমার বিরুদ্ধে তোমার জন্য কোন কার্য সম্পাদনকারী পাবে না (বনী ইসরাঈল, আয়াত ৮৬)
Tafsir Ahsanul Bayaan
ইচ্ছা করলে আমি তোমার প্রতি যা প্রত্যাদেশ করেছি, তা অবশ্যই প্রত্যাহার করতে পারতাম;[১] অতঃপর তুমি এ বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে কোন কর্মবিধায়ক পেতে না।[২]
[১] অর্থাৎ, অহী মারফৎ সামান্য যে জ্ঞান তোমাকে দেওয়া হয়েছে, আল্লাহ ইচ্ছা করলে সেটুকুও ছিনিয়ে নিতে পারতেন। অর্থাৎ, তোমার অন্তর অথবা কিতাব থেকেই তা মিটিয়ে দিতে পারতেন।
[২] যে পুনরায় এই অহীকে তোমার কাছে ফিরিয়ে দিত।
Tafsir Abu Bakr Zakaria
আর আমরা ইচ্ছে করলে আপনার প্রতি যা ওহী করেছি তা অবশ্যই প্রত্যাহার করতে পারতাম; তারপর এ বিষয়ে আপনি আমাদের বিরুদ্ধে কোন কর্মবিধায়ক পেতেন না [১]।
[১] আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, মানুষকে যতটুকুই জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তাও তার ব্যক্তিগত জায়গীর নয়। আল্লাহর তা’আলা ইচ্ছা করলে তাও ছিনিয়ে নিতে পারে। কাজেই বর্তমান জ্ঞানের জন্য তার কৃতজ্ঞ থাকা এবং অনৰ্থক ও বাজে গবেষণায় সময় নষ্ট না করা উচিত। বিশেষতঃ যখন উদ্দেশ্য গবেষণা করা নয়; বরং অপরকে পরীক্ষা করা ও লজ্জিত করাই উদ্দেশ্য হয়। মানুষ যদি এরূপ করে, তবে এই বক্রতার পরিণতিতে তার অর্জিত জ্ঞানটুকু বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া আশ্চর্য নয়। এ আয়াতে যদিও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সম্বোধন করা হয়েছে, কিন্তু আসলে উম্মতকে শোনানোই উদ্দেশ্য; অর্থাৎ রাসূলের জ্ঞানও যখন তার ক্ষমতাধীন নয়, তখন অন্যের তো প্রশ্নই উঠে না। আয়াতে আরেকটি দিকে দৃষ্টিপাত করা হয়েছে, তা হলো, এ কুরআন ওহী হিসেবে আপনার কাছে আসে। আল্লাহ যদি ইচ্ছা করেন তাহলে তিনি যা এসেছে তাও প্রত্যাহার করে নিতে পারেন। সহীহ হাদীসে এসেছে যে, বাস্তবিকই কিয়ামতের পূর্বে আল্লাহ্ তা'আলা এ কুরআনকে মানুষের মন ও কিতাবের পাতা থেকে উঠিয়ে নেবেন। [দেখুন, সুনান ইবনে মাজাহঃ ৪০৪৯]
Tafsir Bayaan Foundation
আর আমি ইচ্ছা করলে তোমার কাছে ওহীর মাধ্যমে যা পাঠিয়েছি তা অবশ্যই নিয়ে নিতে পারতাম; অতঃপর তুমি এ বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে তোমার জন্য কোন কর্মবিধায়ক পেতে না।
Muhiuddin Khan
আমি ইচ্ছা করলে আপনার কাছে ওহীর মাধমে যা প্রেরণ করেছি তা অবশ্যই প্রত্যাহার করতে পারতাম। অতঃপর আপনি নিজের জন্যে তা আনয়নের ব্যাপারে আমার মোকাবিলায় কোন দায়িত্ব বহনকারী পাবেন না।
Zohurul Hoque
আর আমরা যদি চাইতাম তবে তোমার কাছে যা প্রত্যাদেশ পাঠিয়েছি তা আমরা আলবৎ প্রত্যাহার করতাম, তখন এ বিষয়ে তুমি আমাদের বিরুদ্ধে কোনো কার্যনির্বাহক পেতে না, --