কুরআন মজীদ সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত ৩৯
Qur'an Surah Al-Isra Verse 39
বনী ইসরাঈল [১৭]: ৩৯ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
ذٰلِكَ مِمَّآ اَوْحٰٓى اِلَيْكَ رَبُّكَ مِنَ الْحِكْمَةِۗ وَلَا تَجْعَلْ مَعَ اللّٰهِ اِلٰهًا اٰخَرَ فَتُلْقٰى فِيْ جَهَنَّمَ مَلُوْمًا مَّدْحُوْرًا (الإسراء : ١٧)
- dhālika
- ذَٰلِكَ
- That
- এটা
- mimmā
- مِمَّآ
- (is) from what
- থেকে ঐ বিষয় যা
- awḥā
- أَوْحَىٰٓ
- (was) revealed
- ওহী করেছেন
- ilayka
- إِلَيْكَ
- to you
- তোমার প্রতি
- rabbuka
- رَبُّكَ
- (from) your Lord
- তোমার রব
- mina
- مِنَ
- of
- অন্তর্ভুক্ত
- l-ḥik'mati
- ٱلْحِكْمَةِۗ
- the wisdom
- প্রজ্ঞার
- walā
- وَلَا
- And (do) not
- এবং না
- tajʿal
- تَجْعَلْ
- make
- বানিও
- maʿa
- مَعَ
- with
- সাথে
- l-lahi
- ٱللَّهِ
- Allah
- আল্লাহর
- ilāhan
- إِلَٰهًا
- god
- ইলাহ
- ākhara
- ءَاخَرَ
- other
- অন্য (কাউকে)
- fatul'qā
- فَتُلْقَىٰ
- lest you should be thrown
- তাহ'লে নিক্ষিপ্ত হবে
- fī
- فِى
- in
- মধ্যে
- jahannama
- جَهَنَّمَ
- Hell
- জাহান্নামের
- malūman
- مَلُومًا
- blameworthy
- নিন্দিত অবস্হায়
- madḥūran
- مَّدْحُورًا
- abandoned
- (অনুগ্রহ থেকে) বিতাড়িত হয়ে
Transliteration:
Zaalika mimmaaa awhaaa ilaika Rabbuka minal hikmah; wa laa taj'al ma'allaahi ilaahan aakhara fatulqaa fee Jahannama maloomam mad hooraa(QS. al-ʾIsrāʾ:39)
English Sahih International:
That is from what your Lord has revealed to you, [O Muhammad], of wisdom. And, [O mankind], do not make [as equal] with Allah another deity, lest you be thrown into Hell, blamed and banished. (QS. Al-Isra, Ayah ৩৯)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
এসব সেই হিকমাতের অন্তর্ভুক্ত যা তোমার প্রতিপালক তোমার প্রতি ওয়াহী করেছেন। আল্লাহর সঙ্গে অপর কোন ইলাহ স্থির করো না, করলে তুমি নিন্দিত ও যাবতীয় কল্যাণ বঞ্চিত হয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। (বনী ইসরাঈল, আয়াত ৩৯)
Tafsir Ahsanul Bayaan
তোমার প্রতিপালক অহী (প্রত্যাদেশ) দ্বারা তোমাকে যে হিকমত দান করেছেন এগুলি তার অন্তর্ভুক্ত; তুমি আল্লাহর সাথে কোন উপাস্য স্থির করো না, করলে তুমি নিন্দিত ও আল্লাহর অনুগ্রহ হতে দূরীকৃত অবস্থায় জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।
Tafsir Abu Bakr Zakaria
আপনার রব ওহীর দ্বারা আপনাকে যে হিকমত দান করেছেন এগুলো তার অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহ স্থির করো না, করলে নিন্দিত ও বিতাড়িত অবস্থায় জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে [১]।
[১] এখানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলা হলেও উদ্দেশ্য হলো তার উম্মত। কারণ তিনি শির্ক করার অনেক উর্ধের্ব। লক্ষণীয় যে, এ আদেশ, নিষেধ ও অসিয়তের শুরু হয়েছিল শির্কের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে। শেষ করা হলো আবার সেই শির্কের নিষেধাজ্ঞা দিয়েই। এর দ্বারা এটাই বোঝানো ও এ বিষয়ে তাকীদ দেয়া উদ্দেশ্য যে, দ্বীনের মূলই হচ্ছে শির্ক থেকে দূরে থাকা। তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করা। কেউ কেউ বলেন, প্রথম যখন শির্ক থেকে নিষেধ করা হয়েছিল তখন তার শাস্তি বলা হয়েছে যে, লাঞ্ছিত ও অপমানিত হয়ে বসে পড়বে, অর্থাৎ দুনিয়াতে তারা এভাবে সাহায্যহীন হয়ে থাকবে। তারপর সবশেষে যখন শির্ক থেকে নিষেধ করা হয়েছে তখন তার শাস্তি হিসেবে বলা হয়েছে যে, তাহলে জাহান্নামে নিন্দিত ও বিতাড়িত হয়ে নিক্ষিপ্ত হবে। এটা নিঃসন্দেহে আখেরাতে হবে। [ফাতহুল কাদীর]
Tafsir Bayaan Foundation
এগুলো সেই হিকমতভুক্ত, যা তোমার রব তোমার নিকট ওহীরূপে পাঠিয়েছেন। আর তুমি আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য নির্ধারণ করো না, তাহলে তুমি জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে নিন্দিত ও বিতাড়িত হয়ে।
Muhiuddin Khan
এটা ঐ হিকমতের অন্তর্ভূক্ত, যা আপনার পালনকর্তা আপনাকে ওহী মারফত দান করেছেন। আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য স্থির করবেন না। তাহলে অভিযুক্ত ও আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে বিতাড়িত অবস্থায় জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবেন।
Zohurul Hoque
এগুলো হচ্ছে তোমার প্রভু জ্ঞানের বিষয়ে তোমার কাছে যা প্রত্যাদেশ করেছেন তার মধ্যে থেকে। সুতরাং আল্লাহ্র সঙ্গে অন্য উপাস্য দাঁড় করো না, পাছে তুমি জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হয়ে যাও নিন্দিত পরিত্যক্ত অবস্থায়।