Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত ২৫

Qur'an Surah Al-Isra Verse 25

বনী ইসরাঈল [১৭]: ২৫ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

رَبُّكُمْ اَعْلَمُ بِمَا فِيْ نُفُوْسِكُمْ ۗاِنْ تَكُوْنُوْا صٰلِحِيْنَ فَاِنَّهٗ كَانَ لِلْاَوَّابِيْنَ غَفُوْرًا (الإسراء : ١٧)

rabbukum
رَّبُّكُمْ
Your Lord
তোমাদের রব
aʿlamu
أَعْلَمُ
(is) most knowing
খুব জানেন
bimā
بِمَا
of what
ঐ সম্বন্ধে যা
فِى
(is) in
মধ্যে আছে
nufūsikum
نُفُوسِكُمْۚ
yourselves
তোমাদের অন্তরসমূহের
in
إِن
If
যদি
takūnū
تَكُونُوا۟
you are
তোমরা হও
ṣāliḥīna
صَٰلِحِينَ
righteous
সৎকর্মশীল
fa-innahu
فَإِنَّهُۥ
then indeed He
তবে নিশ্চয়ই তিনি
kāna
كَانَ
is
হলেন
lil'awwābīna
لِلْأَوَّٰبِينَ
to those who often turn (to Him)
জন্যে (আল্লাহ) অভিমুখীদের
ghafūran
غَفُورًا
Most Forgiving
ক্ষমাশীল

Transliteration:

Rabbukum a'lamu bimaa fee nufoosikum; in takoonoo saaliheena fa innahoo kaana lil awwaabeena Ghafoooraa (QS. al-ʾIsrāʾ:25)

English Sahih International:

Your Lord is most knowing of what is within yourselves. If you should be righteous [in intention] – then indeed He is ever, to the often returning [to Him], Forgiving. (QS. Al-Isra, Ayah ২৫)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

তোমাদের প্রতিপালক খুব ভাল করেই জানেন তোমাদের অন্তরে কী আছে। তোমরা যদি সৎকর্মশীল হও, তবে যারা বার বার তাঁর দিকে ফিরে আসে তিনি তো তাদের প্রতি পরম ক্ষমাশীল। (বনী ইসরাঈল, আয়াত ২৫)

Tafsir Ahsanul Bayaan

তোমাদের অন্তরে যা আছে, তা তোমাদের প্রতিপালক অধিক জানেন; তোমরা সৎকর্মপরায়ণ হলে, যারা সর্বদা আল্লাহ অভিমুখী আল্লাহ তাদের প্রতি ক্ষমাশীল।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

তোমাদের রব তোমাদের অন্তরে যা আছে তা ভালো জানেন; যদি তোমরা সৎকর্মপরায়ণ হও তবেই তো তিনি আল্লাহ-অভিমুখীদের প্রতি খুবই ক্ষমাশীল [১]

[১] আয়াতটি নতুন কথাও হতে পারে, তখন অর্থ হবে, তোমাদের অন্তরেই ইখলাস আছে কিনা, আনুগত্যের অবস্থা কি, গোনাহ থেকে তাওবাহ করার প্রস্তুতি কেমন আছে এসব আল্লাহ খুব ভাল করেই জানেন। [ফাতহুল কাদীর] আবার পূর্ব কথার রেশ ধরে পিতার আদব ও সম্মান সম্পর্কিত আদেশসমূহের কারণে সন্তানদের মনে এমন একটা আশঙ্কা দেখা দিতে পারে যে, পিতা-মাতার সাথে সদা সর্বদা থাকতে হবে। তাঁদের এবং নিজেদের অবস্থাও সব সময় সমান যায়না। কোন সময় মুখ দিয়ে এমন কথা ও বের হয়ে যেতে পারে, যা উপরোক্ত আদবের পরিপন্থী। তাই বলা হয়েছে যে, বেআদবীর ইচ্ছা ব্যতিরেকে কোন সময় কোন পেরেশানী অথবা অসাবধানতার কারণে কোন কথা বের হয়ে গেলে এবং এজন্যে তওবা করলে আল্লাহ তা'আলা মনের অবস্থা সম্পর্কে সম্যক অবগত রয়েছেন যে, কথাটি বেআদবী অথবা কষ্টদানের জন্যে বলা হয়নি। সুতরাং তিনি আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কারীদেরকে ক্ষমা করবেন। দেখুন, [ইবন কাসীর] আওয়াবীন শব্দের অর্থ নিয়ে বেশ মতভেদ থাকলেও এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে, প্রত্যাবর্তনকারী। সে হিসেবে এর অর্থ দাঁড়ায়, যারা গোনাহ থেকে তাওবাহ করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসে তাদেরকে তিনি ক্ষমা করে দিবেন। যারাই ইখলাসহীন অবস্থা থেকেই খলাসের দিকে ফিরে আসে তাদেরকেও তিনি পূর্বে কথা, কাজও বিশ্বাসে যে ভুল-ত্রুটি হয়ে গেছে সেগুলো ক্ষমা করে দিবেন। মূলত; যে তাওবা করে আল্লাহ তার তাওবা কবুল করেন। যে আল্লাহর দিকে ফিরে আসে আল্লাহও তার দিকে ফিরে আসেন। [ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর]

Tafsir Bayaan Foundation

তোমাদের অন্তরে যা আছে, সে সম্পর্কে তোমাদের রবই অধিক জ্ঞাত। যদি তোমরা নেককার হও তবে তিনি তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তনকারীদের প্রতি অধিক ক্ষমাশীল।

Muhiuddin Khan

তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের মনে যা আছে তা ভালই জানেন। যদি তোমরা সৎ হও, তবে তিনি তওবাকারীদের জন্যে ক্ষমাশীল।

Zohurul Hoque

তোমাদের প্রভু ভাল জানেন তোমাদের অন্তরে যা-কিছু আছে। তোমরা যদি সৎকর্মপরায়ণ হও তবে নিঃসন্দেহ তিনি মুখাপেক্ষীদের প্রতি পরিত্রাণকারী।