Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত ১৯

Qur'an Surah Al-Isra Verse 19

বনী ইসরাঈল [১৭]: ১৯ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

وَمَنْ اَرَادَ الْاٰخِرَةَ وَسَعٰى لَهَا سَعْيَهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَاُولٰۤىِٕكَ كَانَ سَعْيُهُمْ مَّشْكُوْرًا (الإسراء : ١٧)

waman
وَمَنْ
And whoever
এবং যে
arāda
أَرَادَ
desires
চেয়েছে
l-ākhirata
ٱلْءَاخِرَةَ
the Hereafter
আখিরাত
wasaʿā
وَسَعَىٰ
and exerts
ও চেষ্টা করেছে
lahā
لَهَا
for it
জন্যে তার
saʿyahā
سَعْيَهَا
the effort
তার চেষ্টা
wahuwa
وَهُوَ
while he
যখন সে
mu'minun
مُؤْمِنٌ
(is) a believer
মু'মিনও
fa-ulāika
فَأُو۟لَٰٓئِكَ
then those
সে ক্ষেত্রে ঐসব লোকদের
kāna
كَانَ
[are]
হলো
saʿyuhum
سَعْيُهُم
their effort
তাদের প্রচেষ্টা
mashkūran
مَّشْكُورًا
(is) appreciated
স্বীকৃত

Transliteration:

Wa man araadal Aakhirata wa sa'aa lahaa sa'yahaa wa huwa mu'minun fa ulaaa'ika kaana sa'yuhum mashkooraa (QS. al-ʾIsrāʾ:19)

English Sahih International:

But whoever desires the Hereafter and exerts the effort due to it while he is a believer – it is those whose effort is ever appreciated [by Allah]. (QS. Al-Isra, Ayah ১৯)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আর যে ব্যক্তি আখিরাত কামনা করে আর তার জন্য চেষ্টা করে যতখানি চেষ্টা করা দরকার আর সে মু’মিনও, এরাই হল তারা যাদের চেষ্টা সাধনা সাদরে গৃহীত হবে। (বনী ইসরাঈল, আয়াত ১৯)

Tafsir Ahsanul Bayaan

যারা বিশ্বাসী হয়ে পরলোক কামনা করে এবং তার জন্য যথাযথ চেষ্টা করে, তাদেরই চেষ্টা স্বীকৃত হয়ে থাকে। [১]

[১] মহান আল্লাহর কাছে মূল্যায়নের জন্য তিনটি জিনিস এখানে বর্ণিত হয়েছে। (ক) আখেরাত কামনা। অর্থাৎ, কর্মে ইখলাস থাকা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করা। (খ) যথাযথ প্রচেষ্টা করা। অর্থাৎ, সুন্নাহ অনুযায়ী কর্ম করা। (গ) ঈমান থাকা। কেননা, এ ছাড়া কোন আমলই গ্রহণযোগ্য হবে না। অর্থাৎ, আমল কবুল হওয়ার জন্য ঈমানের সাথে সাথে তাতে ইখলাস থাকা এবং সুন্নাহ অনুযায়ী সে আমল সম্পাদিত হওয়া জরুরী। (অন্য কথায়, প্রত্যেক আমল কবুল হওয়ার ভিত্তি হল ঈমান এবং ইখলাস ও মুহাম্মাদী তরীকা হল তার শর্ত। -সম্পাদক)

Tafsir Abu Bakr Zakaria

আর যারা মুমিন হয়ে আখিরাতের কামনা করে করে এবং আখিরাতের জন্য যথাযথ চেষ্টা করে তাদের প্রচেষ্টা পুরস্কারযোগ্য [১]

[১] মুমিন যখনই যে কাজে আখেরাতের ইচ্ছা ও নিয়ত করবে, তার সেই কাজ গ্রহণ যোগ্য হবে; যদি ও তার কোন কোন কাজের নিয়তে মন্দ মিশ্রিত হয়ে যায়। এ অবস্থাটি হচ্ছে মুমিনের। তার যে কর্ম খাঁটি নিয়ত সহকারে অন্যান্য শর্তনুযায়ী হবে, তা গ্রহণযোগ্য হবে এবং যে কর্ম এরূপ হবে না, তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এ আয়াতে চেষ্টা ও কর্মের সাথে سعيها এ শব্দ যোগ করে বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক কর্ম ও চেষ্টা কল্যাণকর ও আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না; বরং সেটিই ধর্তব্য হয়, যা আখেরাতের লক্ষ্যের উপযোগী। উপযোগী হওয়া না হওয়া শুধু আল্লাহ ও রাসূলের বর্ণনা দ্বারাই জানা যেতে পারে। তাই তাকে সে কাজটি সুন্নাত অনুযায়ীই করতে হবে। কাজেই যে সৎকর্ম মনগড়া পন্থায় করা হয়- সাধারণ বেদআতি পন্থাও এর অন্তর্ভুক্ত, তা দৃশ্যতঃ যতই সুন্দর ও উপকারী হোক না কেন- আখেরাতের জন্যে উপযোগী নয়। তাই সেটা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয় এবং আখেরাতে ও কল্যাণকর নয়। [দেখুন, ফাতহুল কাদীর]

Tafsir Bayaan Foundation

আর যে আখিরাত চায় এবং তার জন্য যথাযথ চেষ্টা করে মুমিন অবস্থায়, তাদের চেষ্টা হবে পুরস্কারযোগ্য।

Muhiuddin Khan

আর যারা পরকাল কামনা করে এবং মুমিন অবস্থায় তার জন্য যথাযথ চেষ্টা-সাধনা করে, এমন লোকদের চেষ্টা স্বীকৃত হয়ে থাকে।

Zohurul Hoque

আর যে কেউ পরকাল কামনা করে, আর তার জন্যে চেষ্টা করে যথাযথ প্রচেষ্টায় এবং সে মুমিন হয়, তাহলে এরাই -- এদের প্রচেষ্টা হবে স্বীকৃত।