Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা বনী ইসরাঈল আয়াত ১৮

Qur'an Surah Al-Isra Verse 18

বনী ইসরাঈল [১৭]: ১৮ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

مَنْ كَانَ يُرِيْدُ الْعَاجِلَةَ عَجَّلْنَا لَهٗ فِيْهَا مَا نَشَاۤءُ لِمَنْ نُّرِيْدُ ثُمَّ جَعَلْنَا لَهٗ جَهَنَّمَۚ يَصْلٰىهَا مَذْمُوْمًا مَّدْحُوْرًا (الإسراء : ١٧)

man
مَّن
Whoever
যে
kāna
كَانَ
should
ছিলো
yurīdu
يُرِيدُ
desire
চায়
l-ʿājilata
ٱلْعَاجِلَةَ
the immediate
(সুখসম্ভোগ) পার্থিব
ʿajjalnā
عَجَّلْنَا
We hasten
তাড়াতাড়ি দিই আমরা
lahu
لَهُۥ
for him
তাকে
fīhā
فِيهَا
in it
মধ্যে তার
مَا
what
যা
nashāu
نَشَآءُ
We will
ইচ্ছে করি আমরা
liman
لِمَن
to whom
জন্যে যার
nurīdu
نُّرِيدُ
We intend
আমরা চাই
thumma
ثُمَّ
Then
এরপর
jaʿalnā
جَعَلْنَا
We have made
আমরা নির্ধারণ করি
lahu
لَهُۥ
for him
জন্যে তার
jahannama
جَهَنَّمَ
Hell
জাহান্নাম
yaṣlāhā
يَصْلَىٰهَا
he will burn
সে উত্তপ্ত হবে
madhmūman
مَذْمُومًا
disgraced
নিন্দিত অবস্হায়
madḥūran
مَّدْحُورًا
rejected
(অনুগ্রহ থেকে) বিতাড়িত হয়ে

Transliteration:

Man kaana yureedul 'aajilata 'ajjalnaa lahoo feehaa maa nashaaa'u liman nureedu summa ja'alnaa lahoo Jahannama yaslaahaa mazmoomammad hooraa (QS. al-ʾIsrāʾ:18)

English Sahih International:

Whoever should desire the immediate – We hasten for him from it what We will to whom We intend. Then We have made for him Hell, which he will [enter to] burn, censured and banished. (QS. Al-Isra, Ayah ১৮)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

যে কেউ নগদ নগদ পেতে চায় তাকে আমি এখানেই জলদি করে দিয়ে দেই যাকে যা দিতে ইচ্ছে করি, অবশেষে তার জন্য জাহান্নাম নির্ধারণ করি। তাতে সে জ্বলবে ধিকৃত ও রহমাত বঞ্চিত অবস্থায়। (বনী ইসরাঈল, আয়াত ১৮)

Tafsir Ahsanul Bayaan

কেউ পার্থিব সুখ-সম্ভোগ কামনা করলে আমি যাকে যা ইচ্ছা সত্বর দিয়ে থাকি, পরে তার জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত করি; সেখানে সে প্রবেশ করবে নিন্দিত ও অনুগ্রহ হতে দূরীকৃত অবস্থায়। [১]

[১] অর্থাৎ, প্রত্যেক দুনিয়া কামনাকারী দুনিয়া পায় না। দুনিয়া কেবল সেই পায়, যাকে আমি দেওয়ার ইচ্ছা করি। আর সেও ততটা দুনিয়া পায় না, যতটা সে চায়, বরং ততটাই সে পায়, যতটা তাকে দেওয়ার ফায়সালা আমি করি। তবে (আখেরাত বর্জন করে) এই দুনিয়া কামনার ফল হবে জাহান্নামের চিরন্তন আযাব ও লাঞ্ছনা ভোগ।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

কেউ আশু সুখ-সম্ভোগ কামনা করলে আমরা যাকে যা ইচ্ছে এখানেই সত্ত্বর দিয়ে থাকি [১]; পরে তার জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত করি যেখানে সে শাস্তিতে দগ্ধ হবে নিন্দিত ও অনুগ্রহ হতে দূরীকৃত অবস্থায় [২] '

[১] অর্থাৎ যারা শুধু দুনিয়াতেই নগদ পেতে চায়, আমি তাদেরকে নগদই দান করি। তবে সেজন্য দুটি শর্ত রয়েছে। একটি শর্ত হচ্ছে, আমি যতটুকু ইচ্ছা করি, ততটুকুই দান করি, তাদের চেষ্টা বা চাহিদা মোতাবেক দান করা আবশ্যক নয়। দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে, আমার হেকমত অনুসারে যাকে সমীচীন মনে করি, শুধু তাকেই নগদ দান করি। সবাইকে দিতে হবে, এমন কোন বাধ্যবাধকতা নাই। এ আয়াতটি এ জাতীয় যত আয়াতে শর্তহীনভাবে দেয়ার কথা আছে সবগুলোর জন্য শর্ত আরোপ করে দিয়েছে। [দেখুন, ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর]

[২] এর অর্থ হচ্ছে, যে ব্যক্তি আখেরাতে বিশ্বাস করে না অথবা আখেরাত পর্যন্ত সবর করতে প্ৰস্তুত নয় এবং শুধুমাত্র দুনিয়া এবং দুনিয়াবী সাফল্য ও সমৃদ্ধিকেই নিজের যাবতীয় প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে, সে যা কিছু পাবে এ দুনিয়াতেই পাবে। আখেরাতে সে কিছুই পেতে পারে না। কারণ সে দুনিয়াকে আখেরাতের উপর প্রাধান্য দিয়েছে, সুতরাং সে আখেরাতের জন্য কিছুই করেনি। সুতরাং সে অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে। [ইবন কাসীর]

Tafsir Bayaan Foundation

যে দুনিয়া চায় আমি সেখানে তাকে দ্রুত দিয়ে দেই, যা আমি চাই, যার জন্য চাই। তারপর তার জন্য নির্ধারণ করি জাহান্নাম, সেখানে সে প্রবেশ করবে নিন্দিত, বিতাড়িত অবস্থায়।

Muhiuddin Khan

যে কেউ ইহকাল কামনা করে, আমি সেসব লোককে যা ইচ্ছা সত্ত্বর দিয়ে দেই। অতঃপর তাদের জন্যে জাহান্নাম নির্ধারণ করি। ওরা তাতে নিন্দিত-বিতাড়িত অবস্থায় প্রবেশ করবে।

Zohurul Hoque

যে কেউ কামনা করে বর্তমানকাল, আমরা তার জন্য সে-ক্ষেত্রে যা ইচ্ছা করি তাই ত্বরান্বিত করি -- যার জন্য আমরা মনস্ত করি, তারপর তার জন্যে আমরা ধার্য করি জাহান্নাম, তাতে সে প্রবেশ করবে নিন্দিত বিতাড়িত হয়ে।