Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা নাহল আয়াত ৩৯

Qur'an Surah An-Nahl Verse 39

নাহল [১৬]: ৩৯ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

لِيُبَيِّنَ لَهُمُ الَّذِيْ يَخْتَلِفُوْنَ فِيْهِ وَلِيَعْلَمَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْٓا اَنَّهُمْ كَانُوْا كٰذِبِيْنَ (النحل : ١٦)

liyubayyina
لِيُبَيِّنَ
That He will make clear
জন্যে প্রকাশ করার
lahumu
لَهُمُ
to them
তাদের কাছে
alladhī
ٱلَّذِى
that
যে বিষয়ে
yakhtalifūna
يَخْتَلِفُونَ
they differ
তারা মতানৈক্য করে
fīhi
فِيهِ
wherein
তার মধ্যে
waliyaʿlama
وَلِيَعْلَمَ
and that may know
এবং জানে যেন
alladhīna
ٱلَّذِينَ
those who
(তারা) যারা
kafarū
كَفَرُوٓا۟
disbelieved
অস্বীকার করেছে
annahum
أَنَّهُمْ
that they
যে তারা
kānū
كَانُوا۟
were
(তারা) ছিলো
kādhibīna
كَٰذِبِينَ
liars
মিথ্যাবাদী

Transliteration:

Liyubaiyina lahumul lazee yakhtalifoona feehi wa liya'lamal lazeena kafarooo annahum kaanoo kaazibeen (QS. an-Naḥl:39)

English Sahih International:

[It is] so He will make clear to them [the truth of] that wherein they differ and so those who have disbelieved may know that they were liars. (QS. An-Nahl, Ayah ৩৯)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

(তাদেরকে পুনর্জীবিত করা হবে) যারা এ ব্যাপারে মতভেদ করেছিল তাদের কাছে স্পষ্ট করে দেয়ার জন্য, আর কাফিরগণ যাতে জানতে পারে যে, তারা ছিল মিথ্যেবাদী। (নাহল, আয়াত ৩৯)

Tafsir Ahsanul Bayaan

তিনি (পুনর্জীবিত করবেন) যাতে তাদের বিতর্কিত বিষয় তাদেরকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন এবং যাতে অবিশ্বাসীরা জানতে পারে যে, তারাই ছিল মিথ্যাবাদী।[১]

[১] এখানে কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার হিকমত ও কারণ উল্লেখ করা হচ্ছে যে, সেদিন মহান আল্লাহ সেই সকল বিষয়ে ফায়সালা করবেন, যে সকল বিষয়ে তাদের মাঝে মতানৈক্য ছিল। হকপন্থী ও পরহেযগারদেরকে উত্তম প্রতিদান দেবেন এবং কাফের ও পাপীদেরকে তাদের পাপকাজের শাস্তি দেবেন। তাছাড়া সে দিন কাফেরদের নিকট এ কথা স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, কিয়ামত হওয়ার ব্যাপারে যে শপথ তারা করত, তাতে তারা মিথ্যাবাদী ছিল।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

যে বিষয়ে তারা মতানৈক্য করছে, তা তাদেরকে স্পষ্টভাবে বর্ণনা করার জন্য এবং কফিরদের জানার জন্য যে, নিশ্চয় তারা ছিল মিথ্যাবাদী [১]।

[১] এ বক্তব্য থেকে মৃত্যুর পরের জীবন এবং শেষ বিচারের দিনের জন্য মানুষের পুনরুত্থানের রহস্য ও হিকমত বর্ণনা করা হচ্ছে। [ইবন কাসীর] দুনিয়ায় যখন থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে, সত্য সম্পর্কে অসংখ্য মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। এ ধরনের মতবিরোধের ক্ষেত্রে বিবেকের দাবী এই যে, এক সময় না এক সময় সঠিক ও নিশ্চিতভাবে প্রতিভাত হোক যথার্থই তাদের মধ্যে হক কি ছিল এবং বাতিল কি ছিল, কে সত্যপন্থী ছিল এবং কে মিথ্যাপন্থী। এ দুনিয়ায় এ যবনিকা সরে যাওয়ার কোন সম্ভাবনাই দেখা যায় না। এ দুনিয়ার ব্যবস্থাপনাই এমন যে, এখানে সত্য কোনদিন পর্দার বাইরে আসতে পারে না। কাজেই বিবেকের এ দাবী পূরণ করার জন্য ভিন্ন আরেকটি জগতের প্রয়োজন। আর সেটাই হচ্ছে আখেরাত | [এ বিষয়টির দিকে আল্লাহ তা'আলা ইঙ্গিত করেছেন, দেখুন সূরা আত-তুরঃ ১৪-১৬, সূরা আল-কামারঃ ৫০, সূরা লুকমানঃ ২৮]

তাছাড়া আরও একটি কারণে মানুষের পুনরুত্থান প্রয়োজন বলে এখানে বলা হয়েছে, তা হচ্ছে, এ সমস্ত কাফের ও মুশরিকরা শপথ ও কসম করে কিয়ামতের আগমন ও সেখানে মানুষের পুনরুত্থানের বিষয়টি অস্বীকার করছে, সুতরাং কিয়ামত ও পুনরুত্থান হলে কারা তাদের শপথে মিথ্যাবাদী ছিল সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে। ইবন কাসীর] তখন তাদের বিচার করা হবে। যেদিন তাদেরকে ধাক্কা মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের আগুনের দিকে। [ইবন কাসীর] [এ ব্যাপারে দেখুন সূরা আন-নাজমঃ ৩১]

Tafsir Bayaan Foundation

যাতে তিনি তাদের জন্য স্পষ্ট করেন, যা নিয়ে তারা মতবিরোধ করে। আর যারা কুফরী করেছে, যেন তারা জানতে পারে যে, নিশ্চয় তারা ছিল মিথ্যাবাদী।

Muhiuddin Khan

তিনি পুনরুজ্জীবিত করবেনই, যাতে যে বিষয়ে তাদের মধ্যে মতানৈক্য ছিল তা প্রকাশ করা যায় এবং যাতে কাফেরেরা জেনে নেয় যে, তারা মিথ্যাবাদী ছিল।

Zohurul Hoque

যেন তিনি তাদের কাছে সুস্পষ্ট করতে পারেন সেই বিষয় যাতে তারা মতভেদ করছে, আর যারা অবিশ্বাস পোষণ করে তারা যেন জানতে পারে যে তারা নিশ্চয় মিথ্যাবাদী ছিল।