কুরআন মজীদ সূরা নাহল আয়াত ২৪
Qur'an Surah An-Nahl Verse 24
নাহল [১৬]: ২৪ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
وَاِذَا قِيْلَ لَهُمْ مَّاذَآ اَنْزَلَ رَبُّكُمْ ۙقَالُوْٓا اَسَاطِيْرُ الْاَوَّلِيْنَ (النحل : ١٦)
- wa-idhā
- وَإِذَا
- And when
- এবং যখন
- qīla
- قِيلَ
- it is said
- বলা হয়
- lahum
- لَهُم
- to them
- তাদেরকে
- mādhā
- مَّاذَآ
- "What
- "কি
- anzala
- أَنزَلَ
- has your Lord sent down?
- অবতীর্ণ করেছেন
- rabbukum
- رَبُّكُمْۙ
- has your Lord sent down?
- তোমাদের রব
- qālū
- قَالُوٓا۟
- They say
- তারা বলে
- asāṭīru
- أَسَٰطِيرُ
- "Tales
- "উপকথাসমূহ
- l-awalīna
- ٱلْأَوَّلِينَ
- (of) the ancient"
- পূর্ববর্তীদের"
Transliteration:
Wa izaa qeela lahum maazaaa anzala Rabbukum qaaloo asaateerul awwaleen(QS. an-Naḥl:24)
English Sahih International:
And when it is said to them, "What has your Lord sent down?" they say, "Legends of the former peoples," (QS. An-Nahl, Ayah ২৪)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তাদেরকে যখন বলা হয়, ‘তোমাদের প্রতিপালক কী নাযিল করেছেন’ তখন তারা বলে- ‘পূর্ববর্তীদের কল্প-কাহিনী’। (নাহল, আয়াত ২৪)
Tafsir Ahsanul Bayaan
যখন তাদেরকে বলা হয়, ‘তোমাদের প্রতিপালক কি অবতীর্ণ করেছেন?’ উত্তরে তারা বলে, ‘পূর্ববর্তীদের উপকথা।’[১]
[১] বৈমুখ্য ও বিদ্রূপ প্রকাশ করে মিথ্যায়নকারীরা উত্তরে বলত, আল্লাহ তাআলা কিছুই অবতীর্ণ করেননি। আর মুহাম্মাদ যা কিছু পাঠ করে তা হল পূর্ববর্তীদের উপকথা; যা অপরের নিকট থেকে শুনে বর্ণনা করে।
Tafsir Abu Bakr Zakaria
আর যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমাদের রব কী নাযিল করেছেন? তখন তারা বলে, পূর্ববর্তীদের উপকথা! [১]’
[১] রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দাওয়াতের চর্চা যখন চারদিকে হতে লাগলো তখন মক্কার লোকেরা যেখানেই যেতো সেখানেই তাদেরকে জিজ্ঞেস করা হতো, তোমাদের ওখানে যে ব্যক্তি নবী হয়ে এসেছেন তিনি কি শিক্ষা দেন? কুরআন কোন ধরনের কিতাব, তার মধ্যে কি বিষয়ের আলোচনা করা হয়েছে? ইত্যাদি ইত্যাদি। এ ধরনের প্রশ্নের জবাবে মক্কার কাফেররা সবসময় এমন সব শব্দ প্রয়োগ করতো যাতে প্রশ্নকারীর মনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তিনি যে কিতাবটি এনেছেন সে সম্পর্কে কোন না কোন সন্দেহ জাগতো অথবা কমপক্ষে তার মনে নবীর বা তাঁর নবুওয়াতের ব্যাপারে সকল প্রকার আগ্রহ খতম হয়ে যেত। [এ ব্যাপারে আরো দেখুন, সূরা আল-ফুরকানঃ ৫]
এভাবেই তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর মিথ্যাচার করতো এবং তার সম্পর্কে পরস্পর বিরোধী সম্পূর্ণ অসার অলীক বাতিল কথাবার্তা বলতো। কেননা যারাই হকের বিপরীতে কথা বলবে, তারা যত প্রকারের কথাই বলুক না কেন, সবই ভুল ও অসার হতে বাধ্য। তারা বলত, জাদুকর, কবি, গণক, পাগল। শেষ পর্যন্ত তারা তাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষক ওলীদ ইবন মুগীরা আল-মাখযুমী যা বলেছিল তাতেই সবাই একমত হয়েছিল। আল্লাহ বলেন, “সে তো চিন্তা করল এবং সিদ্ধান্ত করল। সুতরাং ধ্বংস হোক সে! কেমন করে সে এ সিদ্ধান্ত করল! তারপরও ধবংস হোক সে! কেমন করে সে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হল! তারপর সে তাকাল। তারপর সে ভ্ৰকুঞ্চিত করল ও মুখ বিকৃত করল। তারপর সে পিছন ফিরল এবং অহংকার করল। অতঃপর সে বলল, এটা তো লোক পরম্পরায় প্রাপ্ত জাদু ভিন্ন আর কিছু নয়।” [সূরা আল-মুদ্দাসসির; ২৪]
অর্থাৎ বলা হয়ে থাকে যে, তার আনিত বিষয় জাদু। শেষপর্যন্ত তারা এটার উপর পরস্পর একমত হয়ে চলে যায়। [ইবন কাসীর]
Tafsir Bayaan Foundation
আর যখন তাদের বলা হয়, ‘তোমাদের রব কী নাযিল করেছেন’? তারা বলে, ‘পূর্ববর্তীদের কল্পকাহিনী’।
Muhiuddin Khan
যখন তাদেরকে বলা হয়ঃ তোমাদের পালনকর্তা কি নাযিল করেছেন? তারা বলেঃ পূর্ববর্তীদের কিসসা-কাহিনী।
Zohurul Hoque
আর যখন তাদের বলা হয় -- ''তোমাদের প্রভু কী বিষয়বস্তু অবতারণ করেছেন?’’ তারা বলে -- ''সেকেলে গালগল্প!’’