কুরআন মজীদ সূরা হিজর আয়াত ৮৫
Qur'an Surah Al-Hijr Verse 85
হিজর [১৫]: ৮৫ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
وَمَا خَلَقْنَا السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَآ اِلَّا بِالْحَقِّۗ وَاِنَّ السَّاعَةَ لَاٰتِيَةٌ فَاصْفَحِ الصَّفْحَ الْجَمِيْلَ (الحجر : ١٥)
- wamā
- وَمَا
- And not
- এবং নি
- khalaqnā
- خَلَقْنَا
- We created
- আমরা সৃষ্টি করেছি
- l-samāwāti
- ٱلسَّمَٰوَٰتِ
- the heavens
- আকাশ মন্ডলী
- wal-arḍa
- وَٱلْأَرْضَ
- and the earth
- এবং পৃথিবী
- wamā
- وَمَا
- and whatever
- এবং যা (আছে)
- baynahumā
- بَيْنَهُمَآ
- (is) between them
- উভয়ের মাঝে
- illā
- إِلَّا
- except
- এ ছাড়া
- bil-ḥaqi
- بِٱلْحَقِّۗ
- in truth
- মহাসত্যসহকারে
- wa-inna
- وَإِنَّ
- And indeed
- এবং নিশ্চয়ই
- l-sāʿata
- ٱلسَّاعَةَ
- the Hour
- ক্বিয়ামাত
- laātiyatun
- لَءَاتِيَةٌۖ
- (is) surely coming
- অবশ্যই আসবে
- fa-iṣ'faḥi
- فَٱصْفَحِ
- So overlook
- সুতরাং ক্ষমা করো
- l-ṣafḥa
- ٱلصَّفْحَ
- (with) forgiveness
- সৌজন্যে
- l-jamīla
- ٱلْجَمِيلَ
- gracious
- পরম
Transliteration:
Wa maa khalaqnas samaawaati wal arda wa maa bainahumaaa illaa bilhaqq; wa innas Saa'ata la aatiyatun fasfahis safhal jameel(QS. al-Ḥijr:85)
English Sahih International:
And We have not created the heavens and earth and that between them except in truth. And indeed, the Hour is coming; so forgive with gracious forgiveness. (QS. Al-Hijr, Ayah ৮৫)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
আমি আসমানসমূহ, যমীন আর এ দু’য়ের মাঝে যা কিছু আছে প্রকৃত উদ্দেশ্য ছাড়া সৃষ্টি করিনি। ক্বিয়ামাত অবশ্যই আসবে, কাজেই উত্তম পন্থায় (তাদেরকে) এড়িয়ে যাও। (হিজর, আয়াত ৮৫)
Tafsir Ahsanul Bayaan
আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এই দুয়ের অন্তর্বর্তী কোন কিছুই আমি অযথা সৃষ্টি করিনি।[১] আর কিয়ামত অবশ্যম্ভাবী; সুতরাং তুমি পরম সৌজন্যের সাথে তাদেরকে ক্ষমা কর।
[১] এখানে হক (অযথা নয়) বলতে উপকার ও কল্যাণ, যার উদ্দেশে আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি। অথবা হক বলতে সৎকর্মশীলদের সৎকর্মের প্রতিদান ও অসৎকর্মশীলদের পাপের বদলা দেওয়া। যেমন অন্যত্র বলা হয়েছে, "আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা আল্লাহরই। যাতে তিনি যারা মন্দ কর্ম করে তাদেরকে দেন মন্দ ফল এবং যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে দেন উত্তম পুরস্কার।" (সূরা নাজম ৫৩;৩১)
Tafsir Abu Bakr Zakaria
আর আসমান, যমীন ও তাদের মাঝে অবস্থিত কোন কিছুই যথার্থতা ছাড়া সৃষ্টি করিনি [১] এবং নিশ্চয় কিয়ামত আসবেই। কাজেই আপনি পরম সৌজন্যের সাথে ওদেরকে ক্ষমা করুন [২]।
[১] পৃথিবী ও আকাশের সমগ্র ব্যবস্থা হকের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, বাতিলের ওপর নয়। বিশ্ব জাহান আল্লাহ তা'আলা অনাহুত সৃষ্টি করেন নি। অন্য আয়াতেও আল্লাহ তা বলেছেন। তিনি বলেন,
“তোমরা কি মনে করেছিলে যে, আমরা তোমাদেরকে অনর্থক সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে আনা হবে না? সুতরাং আল্লাহ মহিমাম্বিত, প্রকৃত মালিক, তিনি ছাড়া কোন হক্ক ইলাহ নেই; তিনি সম্মানিত ‘আরশের রব " [সূরা আল-মুমিনুন; ১১৫-১১৬] তারপর কিয়ামত সংঘটিত হওয়া যে অবশ্যম্ভাবী সেটা বলেছেন।
[২] কাতাদা রাহেমাহুল্লাহ বলেন, এ আয়াতের নির্দেশ হলো, সৌজন্যমূলকভাবে তাদেরকে ক্ষমা করে দেয়া। এ নির্দেশ পরবর্তীতে রহিত হয়ে গেছে। এখন শুধু "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" এবং “মুহাম্মাদুররাসূলুল্লাহ" এ কালেমাই তাদের থেকে গ্রহণ করা হবে। [তাবারী] আয়াতের অন্য অর্থ হচ্ছে, সুতরাং আপনি তাদেরকে সুন্দরভাবে এড়িয়ে যান। [জালালাইন]|
Tafsir Bayaan Foundation
আর আমি আসমানসমূহ, যমীন ও এ দুয়ের মধ্যে যা আছে, তা যথার্থতা ছাড়া সৃষ্টি করিনি এবং নিশ্চয় কিয়ামত আসবে। সুতরাং তুমি সুন্দরভাবে তাদেরকে এড়িয়ে যাও।
Muhiuddin Khan
আমি নভোমন্ডল, ভুমন্ডল এবং এতদুভয়ের মধ্যবর্তী যা আছে তা তাৎপর্যহীন সৃষ্টি করিনি। কেয়ামত অবশ্যই আসবে। অতএব পরম ঔদাসীন্যের সাথে ওদের ক্রিয়াকর্ম উপক্ষো করুন।
Zohurul Hoque
আর আমরা মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এ দুইয়ের মধ্যে যা-কিছু আছে তা সৃষ্টি করি নি সত্যের সঙ্গে ব্যতীত। আর নিঃসন্দেহ ঘড়ি-ঘন্টা তো এসে পড়ল; সুতরাং উপেক্ষা করো মহৎ উপেক্ষাভরে।