Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা হিজর আয়াত ২৯

Qur'an Surah Al-Hijr Verse 29

হিজর [১৫]: ২৯ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

فَاِذَا سَوَّيْتُهٗ وَنَفَخْتُ فِيْهِ مِنْ رُّوْحِيْ فَقَعُوْا لَهٗ سٰجِدِيْنَ (الحجر : ١٥)

fa-idhā
فَإِذَا
So when
অতঃপর যখন
sawwaytuhu
سَوَّيْتُهُۥ
I have fashioned him
আমি সুঠাম করবো তাকে
wanafakhtu
وَنَفَخْتُ
and [I] breathed
ও আমি ফুঁকে দিবো
fīhi
فِيهِ
into him
তার মধ্যে
min
مِن
of
থেকে কিছু
rūḥī
رُّوحِى
My spirit
আমার রুহ
faqaʿū
فَقَعُوا۟
then fall down
তোমার তখন হয়ে পড়ো
lahu
لَهُۥ
to him
তার জন্যে
sājidīna
سَٰجِدِينَ
prostrating"
সিজদাকারী"

Transliteration:

Fa izaa sawwaituhoo wa nafakhtu feehi mir roohee faqa'oo lahoo saajideen (QS. al-Ḥijr:29)

English Sahih International:

And when I have proportioned him and breathed into him of My [created] soul, then fall down to him in prostration." (QS. Al-Hijr, Ayah ২৯)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

আমি যখন তাকে পূর্ণ মাত্রায় বানিয়ে দেব আর তাতে আমার পক্ষ হতে রূহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার প্রতি সাজদায় পড়ে যেও। (হিজর, আয়াত ২৯)

Tafsir Ahsanul Bayaan

যখন আমি তাকে সুঠাম করব এবং তাতে আমার রূহ সঞ্চার করব, তখন তোমরা তার প্রতি সিজদাবনত হয়ো।’ [১]

[১] সিজদার আদেশ আদমের সম্মানের জন্য ছিল, ইবাদতের জন্য ছিল না। আর যেহেতু এটি ছিল আল্লাহর আদেশ, সেহেতু তার আবশ্যকতায় কোন সন্দেহ নেই। তবে এখন শরীয়তে কারও জন্য সিজদা বৈধ নয়।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

অতঃপর যখন আমি তাকে সুঠাম করব এবং তাতে আমার পক্ষ থেকে রূহ সঞ্চার করব [১] তখন তোমরা তার প্রতি সিজদাবনত হয়ো [২],

[১] এ থেকে জানা যায়, মানুষের মধ্যে যে রুহ ফুকে দেয়া হয় অর্থাৎ প্রাণ সঞ্চার করা হয় তা মূলতঃ আল্লাহর সৃষ্টিকৃত রুহ বা নির্দেশ বিশেষ। এ সম্পর্কটি সম্মানের জন্য করা হয়েছে। নতুবা আল্লাহর কোন অংশ সৃষ্টির কারো কাছে নেই [ফাতহুল কাদীর] মূলত; সৃষ্টির মধ্যে যেসব গুণের সন্ধান পাওয়া যায় তার প্রত্যেকটিরই উৎস ও উৎপত্তিস্থল আল্লাহরই কোন না কোন গুণ। যেমন হাদীসে বলা হয়েছেঃ “মহান আল্লাহ রহমতকে একশো ভাগে বিভক্ত করেছেন। তারপর এর মধ্য থেকে ৯৯ টি অংশ নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন এবং মাত্র একটি অংশ পৃথিবীতে অবতীর্ণ করেছেন। এই একটি মাত্র অংশের বরকতেই সমুদয় সৃষ্টি পরস্পরের প্রতি অনুগ্রহশীল হয়। এমনকি যদি একটি প্রাণী তার নিজের সন্তান যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এ জন্য তার ওপর থেকে নিজের নখর উঠিয়ে নেয় তাহলে এটিও আসলে এ রহমত গুণের প্রভাবেরই ফলশ্রুতি” [বুখারীঃ ৬০০০, মুসলিমঃ ২৭৫২]

[২] এ সিজদা কোন ইবাদতের সিজদা ছিল না বরং সম্মানসূচক ছিল [বাগভী; ফাতহুল কাদীর] যেমনটি আমাদের সালামের বেলায় হয়ে থাকে। যার প্রকৃত স্বরূপ কেমন ছিল তা আমরা জানি না। [আল-মানার]

Tafsir Bayaan Foundation

‘অতএব যখন আমি তাকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেব এবং তার মধ্যে আমার রূহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার জন্য সিজদাবনত হও’।

Muhiuddin Khan

অতঃপর যখন তাকে ঠিকঠাক করে নেব এবং তাতে আমার রূহ থেকে ফঁুক দেব, তখন তোমরা তার সামনে সেজদায় পড়ে যেয়ো।

Zohurul Hoque

সুতরাং যখন আমি তাকে সুঠাম করব আর তাতে আমার রূহ্ ফুকঁবো তখন তার প্রতি তোমরা পড় সিজদাবনত হয়ে।’’