কুরআন মজীদ সূরা রা'দ আয়াত ২৯
Qur'an Surah Ar-Ra'd Verse 29
রা'দ [১৩]: ২৯ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
اَلَّذِيْنَ اٰمَنُوْا وَعَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ طُوْبٰى لَهُمْ وَحُسْنُ مَاٰبٍ (الرعد : ١٣)
- alladhīna
- ٱلَّذِينَ
- Those who
- যারা
- āmanū
- ءَامَنُوا۟
- believed
- ঈমান এসেছে
- waʿamilū
- وَعَمِلُوا۟
- and did
- ও কাজ করেছে
- l-ṣāliḥāti
- ٱلصَّٰلِحَٰتِ
- righteous deeds
- সৎ
- ṭūbā
- طُوبَىٰ
- blessedness
- সুসংবাদ
- lahum
- لَهُمْ
- (is) for them
- তাদের জন্যে রয়েছে
- waḥus'nu
- وَحُسْنُ
- and a beautiful
- ও উত্তম
- maābin
- مَـَٔابٍ
- place of return
- পরিণাম
Transliteration:
Allazeena aamanoo w a'amilus saalihaati toobaa lahum wa husnu ma aab(QS. ar-Raʿd:29)
English Sahih International:
Those who have believed and done righteous deeds – a good state is theirs and a good return. (QS. Ar-Ra'd, Ayah ২৯)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, সৌভাগ্য তাদেরই, উত্তম পরিণাম তাদের জন্যই। (রা'দ, আয়াত ২৯)
Tafsir Ahsanul Bayaan
যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে, কল্যাণ[১] ও শুভ পরিণাম তাদেরই।’
[১] طُوْبَى এর একাধিক অর্থ বর্ণনা করা হয়েছে, উদাহরণ স্বরূপঃ কল্যাণ, পুণ্য, কারামত, ঈর্ষা, জান্নাতের বিশেষ গাছ অথবা বিশেষ স্থান ইত্যাদি। সবের ভাবার্থ প্রায় একই; অর্থাৎ জান্নাতে উত্তম স্থান এবং তার সুখ-সুবিধা।
Tafsir Abu Bakr Zakaria
‘যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে, তাদেরই জন্য রয়েছে পরম আনন্দ [১] এবং সুন্দর প্রত্যাবর্তনস্থল।’
[১] মূলে বলা হয়েছে, (طُوْبٰى) বা তাদের জন্য রয়েছে ‘তূবা’। এখানে তূবা শব্দ দ্বারা কি উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে এ ব্যাপারে বিভিন্ন বর্ণনা এসেছে। ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা থেকে এসেছে যে, এর অর্থঃ তাদের জন্য রয়েছে খুশী ও চক্ষু সিক্তকারী। ইকরিমা বলেন, এর অর্থঃ তাদের জন্য যা আছে তা কতইনা উত্তম! দাহহাক বলেন, এর অর্থঃ তাদের জন্য ঈর্ষান্বিত হওয়ার মত নেয়ামত। ইবরাহীম নাখ’য়ী বলেন, এর অর্থঃ তাদের জন্য কল্যাণ। কোন কোন বর্ণনায় এসেছে, তূবা হলো জান্নাতের একটি গাছের নাম। [ইবন কাসীর] তবে নিঃসন্দেহে এ সমস্তের মূল অর্থঃ জান্নাত। কারণ জান্নাত এ সবগুলোর সমষ্টি। জান্নাতের নে’আমত অগণিত, অসংখ্য। এক হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ্ তা’আলা সর্বশেষে জান্নাতে গমনকারীকে বলবেন, তোমার যাবতীয় আকাংখা আমার কাছে ব্যক্ত কর। সে লোক চাইতেই থাকবে। শেষ পর্যন্ত যখন তার চাহিদা শেষ হয়ে যাবে। তার আর চাওয়ার কিছু থাকবে না তখন আল্লাহ্ তা’আলা তাকে বলবেনঃ এটা থেকে চাও, ওটা থেকে চাও, এভাবে তাকে তিনি স্মরণ করিয়ে দিবেন। তারপর তিনি তাকে এসব দিয়ে বলবেন। তোমাকে এসবকিছু এবং এগুলোর দশগুণ দেয়া হলো”। [বুখারীঃ ৮০৬, ৮৪৩৭, ৮৪৩৮, মুসলিমঃ ১৮২] আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসে কুদসিতে এসেছে, ‘আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, হে আমার বান্দারা! তোমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী, জিন ও মানব সবাই যদি এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আমার কাছে চাইতে থাক, তারপর আমি তাদের সবাইকে তার প্রার্থিত বস্তু প্রদান করি, তবে তা আমার রাজত্বের কিছুই কমাবে না। তবে এতটুকু যতটুকু সুঁই সমুদ্রের পানিতে ডুবিয়ে কমাতে পারে।’ [মুসলিম; ২৫৭৭]
Tafsir Bayaan Foundation
‘যারা ঈমান আনে এবং নেক আমল করে, তাদের জন্য রয়েছে স্বাচ্ছন্দ ও সুন্দর প্রত্যাবর্তনস্থল’।
Muhiuddin Khan
যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের জন্যে রয়েছে সুসংবাদ এবং মনোরম প্রত্যাবর্তণস্থল।
Zohurul Hoque
যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করছে তাদেরই জন্য পরম সুখ ও শুভ পরিণাম।