Skip to content

কুরআন মজীদ সূরা কাওসার আয়াত ৩

Qur'an Surah Al-Kawthar Verse 3

কাওসার [১০৮]: ৩ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ

اِنَّ شَانِئَكَ هُوَ الْاَبْتَرُ ࣖ (الكوثر : ١٠٨)

inna
إِنَّ
Indeed
নিশ্চয়ই
shāni-aka
شَانِئَكَ
your enemy -
তোমার দুশমন
huwa
هُوَ
he (is)
সে-ই তো
l-abtaru
ٱلْأَبْتَرُ
the one cut off
নির্বংশ

Transliteration:

Inna shani-aka huwal abtar (QS. al-Kawthar:3)

English Sahih International:

Indeed, your enemy is the one cut off. (QS. Al-Kawthar, Ayah ৩)

তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):

(তোমার নাম-চিহ্ন কোন দিন মুছবে না, বরং) তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীরাই নাম চিহ্নহীন- নির্মূল। (কাওসার, আয়াত ৩)

Tafsir Ahsanul Bayaan

নিশ্চয় তোমার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীই হল নির্বংশ। [১]

[১] أَبتَر এমন ব্যক্তিকে বলা হয়, যে নির্বংশ; যার বংশধর কেউ নেই অথবা যার নাম নেওয়ার কেউ নেই। যখন নবী (সাঃ)-এর কোন ছেলে-সন্তান জীবিত থাকল না, তখন কিছু কাফের তাঁকে নির্বংশ বলতে লাগল। এই কথার উপরে আললাহ তাআলা মহানবী (সাঃ)-কে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, নির্বংশ তুমি নও; বরং তোমার দুশমনরাই নির্বংশ হবে। সুতরাং মহান আল্লাহ তাঁর বংশকে তাঁর কন্যার পরম্পরা দ্বারা বাকী রেখেছেন। এ ছাড়া তাঁর উম্মতও তাঁর আধ্যাত্মিক সন্তানেরই পর্যায়ভুক্ত। যাদের আধিক্য নিয়ে তিনি কিয়ামতে অন্যান্য উম্মতের উপর গর্ব করবেন। এ ছাড়াও নবী (সাঃ)-এর নাম সারা বিশ্বে বড় শ্রদ্ধা ও সম্মানের সাথে নেওয়া হয়। পক্ষান্তরে তাঁর শত্রুদের নাম শুধুমাত্র ইতিহাসের পাতাতেই লেখা পড়ে আছে। কারো অন্তরে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নেই এবং কারো মুখে প্রশংসার সাথে তাদের নাম উল্লেখ হয় না।

Tafsir Abu Bakr Zakaria

নিশ্চয় আপনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীই তো নির্বংশ [১]।

[১] সাধারণতঃ যে ব্যক্তির পুত্ৰ সন্তান মারা যায়, আর তাকে أبتر বা নির্বংশ বলা হত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পুত্র কাসেম অথবা ইবরাহীম যখন শৈশবেই মারা গেলেন, তখন কাফেররা তাকে নির্বংশ বলে উপহাস করত। একবার কা‘ব ইবনে আশরাফ ইয়াহূদী সর্দার মক্কায় আগমন করল। কুরাইশের নেতারা তাকে বলল, আপনি কি মদীনাবাসীদের উত্তম ব্যক্তি ও নেতা? সে বলল, হ্যাঁ, তখন তারা বলল, আপনি কি দেখেন না এই লোকটি যে তার জাতির মধ্যে নির্বংশ সে মনে করে সে আমাদের থেকে উত্তম? অথচ আমরা, হজ ও কাবাঘরের সেবায়েত। তখন কা‘ব ইবনে আশরাফ বলল, তোমরা তার থেকে উত্তম। তখন এ আয়াত নাযিল হয়, এতে বলা হয়, “নিশ্চয় আপনার শক্ররাই তো নির্বংশ।” আরও নাযিল হয়, আপনি কি দেখেননা তাদেরকে যাদের কিতাবের কিছু অংশ দেয়া হয়েছিল, তারা মূর্তি ও তাগুতের উপর ঈমান রাখে...” । [সূরা আন-নিসা; ৫১,৫২, হাদীসটি বর্ণনা করেন, নাসায়ী, কিতাবুত-তাফসীর, ২/৫৬০, নং; ৭২৭, ইবনে হিব্বান, ৬৫৭২] এ আয়াতের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি নির্বংশ বলে যে দোষারোপ করা হতো তার জওয়াব দেয়া হয়েছে। শুধু পুত্রসন্তান না থাকার কারণে যারা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নির্বংশ বলে বা তার বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ করে, তারা তার প্রকৃত মর্যাদা সম্পর্কে বেখবর। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বংশগত সন্তান-সন্ততি ও কেয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে, যদিও তা কন্যা-সন্তানের তরফ থেকে হয়। তাছাড়া নবীর আধ্যাতিক সন্তান অর্থাৎ উম্মত তো এত অধিকসংখ্যক হবে যে, পূর্ববর্তী সকল নবীর উম্মতের সমষ্টি অপেক্ষাও বেশী হবে। এছাড়া এ সূরায় রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে আল্লাহ্ তা‘আলার কাছে প্রিয় ও সম্মানিত তাও বিবৃত হয়েছে। [আদওয়াউল বায়ান]

Tafsir Bayaan Foundation

নিশ্চয় তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারীই নির্বংশ।

Muhiuddin Khan

যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ।

Zohurul Hoque

তোমার বিদ্বেষকারীই তো স্বয়ং বঞ্চিত।