কুরআন মজীদ সূরা ইউনুস আয়াত ৯১
Qur'an Surah Yunus Verse 91
ইউনুস [১০]: ৯১ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
اٰۤلْـٰٔنَ وَقَدْ عَصَيْتَ قَبْلُ وَكُنْتَ مِنَ الْمُفْسِدِيْنَ (يونس : ١٠)
- āl'āna
- ءَآلْـَٰٔنَ
- "Now?
- "কি এখন (ঈমান আনলে)
- waqad
- وَقَدْ
- And verily
- অথচ নিশ্চয়ই
- ʿaṣayta
- عَصَيْتَ
- you (had) disobeyed
- তুমি অমান্য করেছো
- qablu
- قَبْلُ
- before
- পূর্বে
- wakunta
- وَكُنتَ
- and you were
- এবং তুমি ছিলে
- mina
- مِنَ
- of
- অন্তর্ভুক্ত
- l-muf'sidīna
- ٱلْمُفْسِدِينَ
- the corrupters?"
- বিপর্যয়কারীদের"
Transliteration:
Aaal'aana wa qad 'asaita qablu wa kunta minal mufsideen(QS. al-Yūnus:91)
English Sahih International:
Now? And you had disobeyed [Him] before and were of the corrupters? (QS. Yunus, Ayah ৯১)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
‘‘এখন (ঈমান আনছ), আগে তো অমান্য করেছ আর ফাসাদকারীদের অন্তর্ভুক্ত থেকেছ। (ইউনুস, আয়াত ৯১)
Tafsir Ahsanul Bayaan
এখন (ঈমান আনছ)? অথচ ইতিপূর্বে তুমি অবাধ্য ছিলে এবং অশান্তি সৃষ্টিকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে।[১]
[১] আল্লাহর পক্ষ থেকে উত্তর দেওয়া হয়েছে যে, এখন ঈমান আনায় আর কোন মঙ্গল নেই। কারণ ঈমান আনার যে সময় ছিল, সে সময় তুমি অবাধ্যতা, ঔদ্ধত্য ও ফাসাদ রচনায় রত ছিলে।
Tafsir Abu Bakr Zakaria
‘এখন! ইতোপূর্বে তো তুমি অমান্য করেছ এবং তুমি অশান্তি সৃষ্টিকারীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলে [১]।
[১] এ আয়াতে মূসা আলাইহিস সালাম-এর বিখ্যাত মু'জিযা সাগর পাড়ি দেয়া এবং ফিরআনের ডুবে মরার বর্ণনা করার পর বলা হয়েছে-
(حَتّٰۤی اِذَاۤ اَدۡرَکَهُ الۡغَرَقُ ۙ قَالَ اٰمَنۡتُ اَنَّهٗ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا الَّذِیۡۤ اٰمَنَتۡ بِهٖ بَنُوۡۤا اِسۡرَآءِیۡلَ وَ اَنَا مِنَ الۡمُسۡلِمِیۡنَ)
অর্থাৎ যখন তাকে জলডুবিতে পেয়ে বসল তখন বলে উঠল, আমি ঈমান এনেছি যে, আল্লাহর উপর বনী-ইসরাঈলরা ঈমান এনেছে তাঁকে ছাড়া সত্য কোন উপাস্য নেই। আর আমি তাঁরই আনুগত্যকারীদের অন্তর্ভুক্ত। স্বয়ং আল্লাহ্ জাল্লা শানুহুর পক্ষ থেকে তার উত্তর দেয়া হয়েছে
(آٰلۡـٰٔنَ وَ قَدۡ عَصَیۡتَ قَبۡلُ وَ کُنۡتَ مِنَ الۡمُفۡسِدِیۡنَ)
অর্থাৎ কি এতক্ষণে ঈমান এনেছ? অথচ ঈমান আনার এবং ইসলাম গ্রহণের সময় উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, ঠিক মৃত্যুকালে ঈমান আনা শরীআত অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নয়। বিষয়টির আরো বিস্তারিত বিশ্লেষণ সে হাদীসের দ্বারাও হয়, যাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা বান্দার তাওবা ততক্ষণ পর্যন্তই কবুল করে থাকেন, যতক্ষণ না মৃত্যুর উর্ধ্বশ্বাস আরম্ভ হয়ে যায়। [তিরমিযীঃ ৩৫৩৭]
মৃত্যুকালীন উর্ধ্বশ্বাস বলতে সে সময়কে বুঝানো হয়েছে, যখন জান কবজ করার সময় ফিরিশতা সামনে এসে উপস্থিত হন। তখন কর্মজগত পৃথিবীর জীবন সমাপ্ত হয়ে আখেরাতের হুকুম-আহকাম আরম্ভ হয়ে যায়। কাজেই সে সময়কার কোন আমল গ্রহণযোগ্য নয়। এমন সময়ে যে লোক ঈমান গ্রহণ করে, তাকেও মুমিন বলা যাবে না এবং কাফন-দাফনের ক্ষেত্রে মুসলিমদের অনুরূপ ব্যবহার করা যাবে না। যেমন, ফিরআউনের এ ঘটনা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, সমগ্র বিশ্ব মুসলিমের নির্দেশেও এটাই সুস্পষ্ট। এ ব্যাপারে অন্য কিছু বলা বা বিশ্বাস করা কুরআন হাদীসের পরিপন্থী।
Tafsir Bayaan Foundation
‘এখন অথচ ইতঃপূর্বে তুমি নাফরমানী করেছ, আর তুমি ছিলে ফাসাদকারীদের অন্তর্ভুক্ত’।
Muhiuddin Khan
এখন একথা বলছ! অথচ তুমি ইতিপূর্বে না-ফরমানী করছিলে। এবং পথভ্রষ্টদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলে।
Zohurul Hoque
''আহা, এখন! আর একটু আগেই তুমি তো অবাধ্যতা করছিলে আর তুমি ছিলে অশান্তি সৃষ্টিকারীদের মধ্যেকার।’’