কুরআন মজীদ সূরা ইউনুস আয়াত ৫১
Qur'an Surah Yunus Verse 51
ইউনুস [১০]: ৫১ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
اَثُمَّ اِذَا مَا وَقَعَ اٰمَنْتُمْ بِهٖۗ اٰۤلْـٰٔنَ وَقَدْ كُنْتُمْ بِهٖ تَسْتَعْجِلُوْنَ (يونس : ١٠)
- athumma
- أَثُمَّ
- Is (it) then
- কি এরপর
- idhā
- إِذَا
- when
- যখন
- mā
- مَا
- when
- তা
- waqaʿa
- وَقَعَ
- (it had) occurred
- ঘটে যাবে
- āmantum
- ءَامَنتُم
- you (will) believe
- বিশ্বাস করবে তোমরা
- bihi
- بِهِۦٓۚ
- in it?
- উপর তার
- āl'āna
- ءَآلْـَٰٔنَ
- Now?
- কি এখন (রক্ষা পেতে চাও)
- waqad
- وَقَدْ
- And certainly
- অথচ নিশ্চয়ই
- kuntum
- كُنتُم
- you were
- তোমরা ছিলে
- bihi
- بِهِۦ
- seeking to hasten it
- সম্বন্ধে তা
- tastaʿjilūna
- تَسْتَعْجِلُونَ
- seeking to hasten it
- তাড়াহুড়া করতে চাইতে
Transliteration:
Asumma izaa maa waqa'a aamantum bih; aaal'aana wa qad kuntum bihee tasta'jiloon(QS. al-Yūnus:51)
English Sahih International:
Then is it that when it has [actually] occurred you will believe in it? Now? And you were [once] for it impatient. (QS. Yunus, Ayah ৫১)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
তাহলে ওটা বাস্তবে ঘটে যাওয়ার পরই কি তোমরা তাতে বিশ্বাস করতে চাও? (ঘটে যাওয়ার পর বলা হবে) ‘এখন, (বিশ্বাস করলে) এটার জন্য তোমরা তাড়াহুড়ো করছিলে!’ (ইউনুস, আয়াত ৫১)
Tafsir Ahsanul Bayaan
তাহলে কি তা যখন এসেই পড়বে তখন তা (বা তাঁকে) বিশ্বাস করবে? (বলা হবে,) হ্যাঁ এখন মানলে?[১] অথচ তোমরা এর জন্য তাড়াহুড়া করছিলে।
[১] কিন্তু শাস্তি চলে আসার পর মেনে নেওয়ায় লাভ কি?
Tafsir Abu Bakr Zakaria
তবে কি তোমরা এটা ঘটার পর তাতে ঈমান আনবে? এখন [১]?! অথচ তোমরা তো এটাকেই তাড়াতাড়ি পেতে চাইছিলে!
[১] অর্থাৎ তোমরা কি তখন ঈমান আনবে, যখন তোমাদের উপর আযাব পতিত হয়ে যাবে? চাই তা মৃত্যুর সময়ে হোক কিংবা তার পূর্বে। কিন্তু তখন তোমাদের ঈমানের উত্তরে কি বলা হবে- (آٰلۡـٰٔنَ) এতক্ষণে ঈমান আনলে, যখন ঈমানের সময় চলে গেছে? যেমন, জলমগ্ন হবার সময়ে ফিরআউন যখন বললঃ “আমি ঈমান আনছি, নিশ্চয়ই কোন হক উপাস্য নেই তিনি ছাড়া যার উপর ঈমান এনেছে বনী ইসরাঈলরা" [সূরা ইউনুসঃ ৯০]। উত্তরে বলা হয়েছিল- (آٰلۡـٰٔنَ) অর্থাৎ এতক্ষণে ঈমান আনলে? বস্তুতঃ তার ঈমান কবুল করা হয়নি। এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা বান্দার তাওবা কবুল করেন যতক্ষণ না তার মৃত্যুকালীন উর্ধ্বশ্বাস আরম্ভ হয়ে যায়”। [তিরমিয়ীঃ ৩৫৩৭, মুসনাদে আহমাদঃ ২/১৩২, হাকেম মুস্তাদরাকঃ ৪/২৫৭, ইবনে মাজাহঃ ৪২৫৩, ইবনে হিব্বানঃ ৬২৮] অর্থাৎ মৃত্যুকালীন গরগরা বা উর্ধ্বশ্বাস আরম্ভ হয়ে যাওয়ার পর ঈমান ও তাওবা আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য নয়। এমনিভাবে দুনিয়াতে আযাব সংঘটিত হওয়ার পূর্বাহ্নে তাওবা কবুল হতে পারে। কিন্তু আযাব এসে যাবার পর আর তাওবা কবুল হয় না। আয়াতের শেষে এবং সূরা গাফেরের ৮৪ ও ৮৫ নং আয়াতদ্বয়ে একথাটি স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে। এ সূরার শেষাংশে ইউনুস আলাইহিস সালামএর কওমের ঘটনা আসছে যে, তাদের তাওবা কবুল করে নেয়া হয়েছিল, তা এই মূলনীতির ভিত্তিতেই হয়েছিল। কারণ, তারা দূরে থেকে আযাব আসতে দেখেই বিশুদ্ধ-সত্য মনে কেদে-কেটে তাওবা করে নিয়েছিল। তাই আযাব সরে যায়। যদি আযাব তাদের উপর পতিত হয়ে যেত, তবে আর তাওবা কবুল হত না।
Tafsir Bayaan Foundation
তবে কি যখন তা ঘটবে, তখন তোমরা তাতে ঈমান আনবে? এখন? অথচ তোমরা এর জন্যই তাড়াহুড়া করতে।
Muhiuddin Khan
তাহলে কি আযাব সংঘটিত হয়ে যাবার পর এর প্রতি বিশ্বাস করবে? এখন স্বীকার করলে? অথচ তোমরা এরই তাকাদা করতে?
Zohurul Hoque
তবে কি তখন তোমরা এতে বিশ্বাস করবে যখন এটি ঘটবে? ''আহা, এখন! তোমরা তো এটিই ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিলে!’’