কুরআন মজীদ সূরা ইউনুস আয়াত ১০১
Qur'an Surah Yunus Verse 101
ইউনুস [১০]: ১০১ ~ শব্দ অনুবাদ দ্বারা শব্দ
قُلِ انْظُرُوْا مَاذَا فِى السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ۗوَمَا تُغْنِى الْاٰيٰتُ وَالنُّذُرُ عَنْ قَوْمٍ لَّا يُؤْمِنُوْنَ (يونس : ١٠)
- quli
- قُلِ
- Say
- (তুমি) বলো
- unẓurū
- ٱنظُرُوا۟
- "See
- "তোমরা লক্ষ্য করো
- mādhā
- مَاذَا
- what
- কি
- fī
- فِى
- (is) in
- মধ্যে (আছে)
- l-samāwāti
- ٱلسَّمَٰوَٰتِ
- the heavens
- আকাশসমূহের
- wal-arḍi
- وَٱلْأَرْضِۚ
- and the earth"
- এবং পৃথিবীর"
- wamā
- وَمَا
- But not
- এবং না
- tugh'nī
- تُغْنِى
- will avail
- উপকারে আসে
- l-āyātu
- ٱلْءَايَٰتُ
- the Signs
- নিদর্শনসমূহ
- wal-nudhuru
- وَٱلنُّذُرُ
- and the warners
- আর (না) সতর্কীকরণ
- ʿan
- عَن
- to
- জন্যে
- qawmin
- قَوْمٍ
- a people
- (সেই) জাতির
- lā
- لَّا
- (who do) not
- না
- yu'minūna
- يُؤْمِنُونَ
- believe
- (যারা) ঈমান আনে
Transliteration:
Qulin zuroo maazaa fissamaawaati wal ard; wa maa tughnil Aayaatu wannuzuru 'an qawmil laa yu'minoon(QS. al-Yūnus:101)
English Sahih International:
Say, "Observe what is in the heavens and the earth." But of no avail will be signs or warners to a people who do not believe. (QS. Yunus, Ayah ১০১)
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন (Taisirul Quran):
বল ‘‘আসমানসমূহ আর যমীনে যা কিছু আছে তার দিকে চেয়ে দেখ, যারা ঈমান আনে না তাদের জন্য নিদর্শনাবলী আর ভয়-ভীতি প্রদর্শন কোন কাজে আসে না। (ইউনুস, আয়াত ১০১)
Tafsir Ahsanul Bayaan
তুমি বলে দাও, ‘আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু রয়েছে তোমরা তার প্রতি লক্ষ্য কর। আর নিদর্শনাবলী ও সতর্ককারী (নবী) তাদের উপকারে আসে না, যারা বিশ্বাস করে না।’
Tafsir Abu Bakr Zakaria
বলুন, আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে সেগুলোর প্রতি লক্ষ্য কর।’ আর যারা ঈমান আনে না, নিদর্শনাবলী ও ভীতি প্রদর্শন এমন সম্প্রদায়ের কোন কাজে আসে না [১]।
[১] আল্লামা শানকীতী বলেন, আল্লাহ্ তা'আলা তাঁর সমস্ত বান্দাদেরকে এ নির্দেশই দিচ্ছেন যে, তারা যেন আসমান ও যমীনের বৃহৎ সৃষ্টিগুলোর দিকে তাকায় যেগুলো তাঁর মহত্বতা, পূর্ণতা, ও তিনিই যে একমাত্র ইবাদতযোগ্য ইলাহ তার উপর প্রমাণবহ। অনুরূপ নির্দেশ তিনি অন্য আয়াতেও দিয়েছেন। যেমন, “অচিরেই আমরা তাদেরকে আমাদের নিদর্শনাবলী দেখাব, বিশ্ব জগতের প্রান্তসমূহে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে; যাতে তাদের কাছে সুস্পষ্ট হয়ে উঠে যে, অবশ্যই এটা (কুরআন) সত্য। এটা কি আপনার রবের সম্পর্কে যথেষ্ট নয় যে, তিনি সব কিছুর উপর সাক্ষী?” [সূরা ফুসসিলাত; ৫৩] [আদওয়াউল বায়ান] বস্তুত; ঈমান আনার জন্য তারা যে দাবীটিকে শর্ত হিসেবে পেশ করতো এটি হচ্ছে তার শেষ ও চূড়ান্ত জবাব। তাদের এ দাবীটি ছিল, আমাদের এমন কোন নির্দশন দেখান যার ফলে আপনার নবুওয়াতকে আমরা সত্য বলে বিশ্বাস করতে পারি। এর জবাবে বলা হচ্ছে, যদি তোমাদের মধ্যে সত্যের আকাংখা এবং সত্য গ্রহণ করার আগ্রহ থাকে তাহলে যমীন ও আসমানের চারদিকে যে অসংখ্য নিদর্শন ছড়িয়ে রয়েছে এগুলো মুহাম্মদের বাণীর সত্যতার ব্যাপারে তোমাদের নিশ্চিন্ত করার জন্য শুধু যথেষ্ট নয় বরং তার চাইতেও বেশী। শুধুমাত্র চোখ খুলে সেগুলো দেখার প্রয়োজন। কিন্তু যদি এ চাহিদা ও আগ্রহই তোমাদের মধ্যে না থাকে, তাহলে অন্য কোন নির্দশন, তা যতই অলৌকিক, অটল ও চিরন্তন রীতি ভংগকারী এবং বিস্ময়কর ও অত্যাশ্চর্য হোক না কেন, তোমাদেরকে ঈমানের নিয়ামত দান করতে পারে না।
Tafsir Bayaan Foundation
বল, ‘আসমানসমূহ ও যমীনে কী আছে তা তাকিয়ে দেখ। আর নিদর্শনসমূহ ও সতর্ককারীগণ এমন কওমের কাজে আসে না, যারা ঈমান আনে না’।
Muhiuddin Khan
তাহলে আপনি বলে দিন, চেয়ে দেখ তো আসমানসমুহে ও যমীনে কি রয়েছে। আর কোন নিদর্শন এবং কোন ভীতিপ্রর্দশনই কোন কাজে আসে না সেসব লোকের জন্য যারা মান্য করে না।
Zohurul Hoque
বলো -- ''তাকিয়ে দেখ যা-কিছু আছে মহাকাশমন্ডলীতে ও পৃথিবীতে।’’ আর নিদর্শনসমূহ ও সতর্ককারীরা কোনো কাজে আসে না সেই সম্প্রদায়ের জন্য যারা বিশ্বাস করে না।